ঢাবিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

DSC_0118স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ আয়োজিত শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ (৩১ আগস্ট ২০১৬) বুধবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

Post MIddle

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রতিযোগী এবং অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশকেই হত্যা করেছিল। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা চালায়। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে তখন রেডিও বাংলাদেশ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘জয়বাংলা’ বাদ দিয়ে ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান আমদানি করা হয়। এভাবেই বর্বর পাকিস্তান বাহিনীর দোসররা বাংলাদেশকে পাকিস্তানমুখী করার চেষ্টা চালায়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে তারা নানা কল্প-কাহিনী প্রচার করতে থাকে।

উপাচার্য বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে শিশুদের সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলনে-বলনে, কাজে-কর্মে, শিক্ষা-দীক্ষায় সকল ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরন করলে শিশুরা যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠতে পারবে।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৫ আগস্ট ২০১৬ ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় এই শিশু চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় মোট ৩টি গ্রুপে শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রত্যেক গ্রুপের সেরা ১০জন করে মোট ৩০জন প্রতিযোগীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট