রাবিতে হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবি

demonstration pic (2)রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষিকার পদত্যাগে দাবি করেছে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলে ছাত্রীদের সাথে অসদাচরণ, পরিবার নিয়ে কটূক্তি, সিট বরাদ্দ না দেওয়া, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগ তুলে সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে ২৫৬ জন ছাত্রী স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগে তারা এ দাবি জানান।

অভিযুক্ত ওই হলের প্রাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক মিলি জেসমিন ও আবাশিক শিক্ষিকা পাক নেহাদ বানু।অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক পাক নেহাদ বানুর খারাপ আচরণে অতিষ্ট। আমাদের হলে প্রচুর অনিয়ম চলে এবং এর ভুক্তভোগী হলের অধিকাংশ ছাত্রী। আমরা তাদের দু’জনেরই পদত্যাগ চাই।’

অভিযোগপত্রে ছাত্রীরা আরো বলেন, ছাত্রীদের কোনো সমস্যা প্রাধ্যক্ষ বা আবাসিক শিক্ষিকাকে জানালে তারা সেটা না শুনে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি হল ছেড়ে যেতে এবং পরিবার নিয়ে কটূ কথা বলে। গণরুমে অতিথি কার্ড করার জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। কার্ড তৈরি হয়ে গেলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রদানে দেরি করে। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ বাদ রেখে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের কোনও অ্যালোটমেন্ট ছাড়াই গণরুমে গেস্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছে। হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিট থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীদের কক্ষে সিট দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের হাতে হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

Post MIddle

অবস্থান কর্মসূচিতে হলের শতাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, কোন সমস্যার কথা বললে হলের ওই আবাসিক শিক্ষক বলেন, হলে থাকার দরকার নাই হল ছেড়ে চলে যাও। তাছাড়া যে কোন কাজ করতে হলে দিনের পর দিন তাদের পেছনে ঘুরতে হয়। তারা আমাদের সমস্যা তো দেখেনই না বরং ছাত্রীদের বলেন, তোমাদের সমস্যা দেখার দায়িত্ব আমার না। হলে সিট খালি থাকা সত্বেও শিক্ষার্থীদের আবসিকতা প্রদান করা হয় না। এমনকি আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দ্বিধাবোধ করেন না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তাদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলি জেসমিন বলেন, ‘আমি হলের ছাত্রীদের সমস্যা না দেখলে কে দেখবে। ছাত্রীদের সমস্যা দেখার জন্যই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’##

demonstration pic

পছন্দের আরো পোস্ট