রাবিতে শ্রেণীকক্ষ নিয়ে দুই বিভাগের দ্বন্দ

RU Logoরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভূক্ত ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ এবং এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের মধ্যে শ্রেণীকক্ষ এবং শিক্ষকদের চেম্বার বণ্টন নিয়ে চরম দ্বন্দ দেখা দিয়েছে। রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ছয়টি শ্রেণীকক্ষসহ মোট এগারোটি কক্ষে তালা লাগানোর অভিযোগ উঠেছে এগ্রোনমী বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

Post MIddle

এগ্রোনমী বিভাগের শিক্ষকদের দাবি, কৃষি অনুষদের ডীন ক্রপ সায়েন্স বিভাগের হওয়ায় নতুন করে কক্ষ বণ্টনে নিজ বিভাগকে বেশি কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষকদের দাবি, পূর্বে একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই নতুনভাবে তারা বেশি কক্ষ পেয়েছেন। সার্বিক কক্ষ বণ্টনে কোন বৈষম্য করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে বেশকিছু নতুন কক্ষ নির্মাণ করা হয়। এসব কক্ষ কৃষি অনুষদের চার বিভাগের মধ্যে বণ্টন করে দেন অনুষদের ডীন এবং ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাহানা কায়েস। বরাদ্দ পাওয়া বিভাগ চারটি হলো,ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন, ফিশারীজ এবং এনিমেল হাজবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ। তবে এই বরাদ্দ নিয়ে শুরু থেকে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে আসছিলেন এগ্রোনমী ও ফিশারীজ বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোসলেহ্ উদ্দীন বলেন, আমাদের আগে ১টা মাত্র ক্লাস রুম ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রৌকশল দপ্তর থেকে নতুন করে পাঁচটি কক্ষ ও পাঁচটি চেম্বার দেয়া হয়। আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আজ সকাল সাড়ে আটটায় আমাদের বিভাগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার অপেক্ষায় কক্ষে বসে ছিলো। এসময় এগ্রোনমী বিভাগের সভাপতি আমিনুল হক তার দলবল নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দেয়। তারা ২০১, ২০২, ২০৬ থেকে ২১৩ নম্বর কক্ষগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। কিছু তালায় সুপারগ্লু আঠা লাগিয়ে দেয়। আমাদের শিক্ষকদের নেমপ্লেট ভেঙ্গে দেয়। তখন বিভাগে আমাদের কোন শিক্ষক ছিলো না। প্রশানসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের অপেক্ষায় আছি।

জানতে চাইলে এগোনমী বিভাগের সভাপতি আমিনুল হক বলেন, আমাদের বিভাগের ক্লাসরুম সংকট আছে। নতুন কক্ষগুলো সমানভাবে দেয়া হয়নি। যা দুঃখজনক। কক্ষে তালা লাগানো ও নেমপ্লেট ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করেছি। এর বেশি কিছু হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৃুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। আগামীকাল সাংবাদিকদের ডেকে ওই বিভাগগুলো সব তথ্য তুলে ধরা হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট