
দেশের জন্য পুলিশ হতে চান লিংকন
নাসির উদ্দিন লিংকন। ছোট বেলা থেকেই একটু অন্য রকম চিন্তার ভেতর দিয়ে বড় হয়েছেন। অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা ভাবে নিজেকে ভাবতে চান। হিমালয়ের চূড়ায় উঠার স্বপ্ন কখনই তার ভিতর জন্মায়নি।তবে সমাজের জন্য দেশের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন। আর তার বাস্তব রুপ দিতে চান একজন দায়িত্ববান পুলিশ অফিসার হয়ে। চ্যালেঞ্জিং লাইফটাকে বেশ পছন্দ করেন তিনি। তাই জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জংকেই কেন্দ্র করে পথ চলা।
২০১২ সালে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগে। এখন তিনি ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর যোগ দিয়েছেন বিএনসিসিতে। তিন বছর বিএনসিসিতে শৃঙ্খলার মধ্য থাকেন।সেই স্থান থেকে পুলিশ হবার ভাবনাও বেশ প্রবল ভাবে তাকে আকৃষ্ট করে। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে সব থেকে বেশি ভূমিকা পুলিশের। তাদের কাজ সর্বদা দেশের জন্য। এসকল চিন্তার ভেতর দিয়ে পথ চলছেন তিনি।
পরিবার ও আত্নীয়-স্বজনদের মধ্য পুলিশ বাহিনীতে অনেকে আছেন। ছোট বেলা থেকেই তাই পুলিশে যোগদান কারার ইচ্ছা মনের মধ্যে।লিংকন বলেন, আমার চাওয়া শুধু দেশের জন্য কিছু করা। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করতে পারলে আমি দেশের জন্য সর্বোচ্চ সেবাটি দিতে পারবো। বাকিটা সময় ও এই শৃঙ্খলার সাথে থাকতে চাই। সেজন্য পুলিশ বাহিনীই সর্বোত্তম।

স্কুল ও কলেজে থাকতে বিতর্ক এবং রচনা প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু অর্জন রয়েছে লিংকনের। জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য গ্রামীনফোন প্রথম আলোর ইন্টারনেট উৎসবে নড়াইল জেলা থেকে আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হওয়া (২০১১) এবং পরবর্তিতে ঢাকাতে ন্যাশনাল রাউন্ডে অংশগ্রহন করা।
সে সময় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহন করা। আগ্রহের জায়গাটা তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশি। তথ্য প্রযুক্তির যেকোন বিষয়ে কাউকে সাহায্য করতে পছন্দ করেন।লিংকন তার জীবনের সবচেয়ে মজার ঘটনা বলতে গিয়ে জানান, কলেজে যখন পড়তাম তখন একটা মেয়ে আমাকে প্রপোজ করেছিল। তার ভয়ে আমি ৭ দিন কলেজে যায়নি। এটা মনে পড়লে এখনো অনেক হাসি পায়।
মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণকারী নাসির উদ্দিন লিংকন একজন সাধারণ মানুষ হয়েই তার মনের ইচ্ছাকে পূরণ করতে চান। আর তার জন্য তিনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন। পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিজের সাফল্যের জন্য ও মানুষের জন্য কিছু করবেন ভেবে।