ফিউচার লিডার তৈরীতে নিয়োজিত হতে চান ওবায়দুল্লাহ আল জাকির

14117884_1374661819227821_8994840084709927421_n (1)ওবায়দুল্লাহ আল জাকির।ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টে এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর।মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের অবিভাসি হওয়ায় ৬মাস পর পর এ্যমেরিকাতে হাজিরা দিতে হয় স্ত্রী আর মেয়ের কাছে।দেশমাতৃকার টানে আবার ফিরে আসেন তিনি।খোলামন আর সাদা মানুষের এই ব্যক্তিটির মানুষকে কাছে টানা আর দ্রুত আপন করে নেয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা।কেমন আছেন,কেমন থাকতে চান আর জনসংযোগ নিয়ে তার ভাবনা লেখাপড়ার২৪.কমের ভিজিটরদের কাছে তুলে ধরতে পেরে আমাদের ভাল লাগছে।

লেখাপড়া

পিতা বুয়েটের এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার আর শিক্ষিকা মায়ের আদরের সন্তান  ওবায়দুল্লাহ আল জাকিরের শৈশব কৈশর আর বেড়ে ওঠা  ‍বুয়েটের  স্টাফ কোয়ার্টারে।শিক্ষার সুতিকাগার বুয়েটের চৈৗহদ্দি পেরিয়ে শিক্ষা জীবনের শুরু ওয়েস্টার্ন হাইস্কুলে তারপর আদমজী হাইস্কুল শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ থেকে মাস্টার্স।

কর্মজীবন

১৯৯১ সালে ব্রাক বাংলাদেশের হেড অফিসে সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ওবায়দুল্লাহ আল জাকির।এরপর ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক রিলেশনের এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।ব্রাক থেকে পরবর্তীতে চলে আসেন সাইথ এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সেক্রেটারী হয়ে।তারপর থেকে আজতক কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টে এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে।

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড

১৯৭৮ সালে ঢাকা লিটল থিয়েটারে শিল্পি হিসেবে সংস্কৃতিক জগতে পদার্পন করেন ওবায়দুল্লাহ আল জাকির।পরবর্তীতে পরিচালনা ও নির্দেশনা করেন অসংখ্য না্টক আর ড্রামার।১৯৮৩ সালে বিটিভিতে কিশোর মেলায় তার লেখা “চন্দন বয়াতির গাঁও”শিশু একাডেমির অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে।

Zakir-5

জনসংযোগ বিভাগে কেন আসা

কমিউনিকেট করতে ভালো লাগে।সংবাদপত্র তথা মিডিয়ার প্রতি আজীবন দুর্বলতা থেকেই এপেশা বেছে নেয়া বললেন তিনি।শিক্ষাবিদ,সংস্কৃতিক ব্যক্ত্বিত্ব,সাংবাদিক আর সমাজের বিখ্যাত সব ব্যক্তিত্বদের মাঝে বিচরন আর তাদের সাথে কাজ করতে স্বচ্ছন্দবোধ থেকেই জনসংযোগের সাথে সম্পৃক্ততা।পেশাদারিত্বের প্রয়োজনে বিল ক্লিনটন,হিলারী ক্লিনটন,অর্মত্য সেন,ড.ইউনুস,স্যার ফজলে হাসান আবেদ,আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ,ড.কামাল হোসেন ও জামিলুর রেজা চৌধুরীর সাথে বিভিন্ন কাজের স্মৃতিকে জীবনের বড় পাওয়া মনে করেন্ ওবায়দুল্লাহ আল জাকির।একই সাথে উনারা প্রিয় ব্যাক্তিত্ব।

জনসংযোগে যারা কাজ করে তারা বেশিরভাগ সময়েই নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজ করে। আমার কাছে যা মনে হয়েছে জনসংযোগে প্রাত্যহিক কাজ ছাড়াও শিল্প-সংস্কৃতি, নাটক-গান-কবিতা গ্রাম ও গ্রাম-বাংলার আনাচে-কানাচে ভ্রমণ যথা প্রকৃতির রূপ অন্বেষণ,লীডারশীপ সংকট ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান থাকা আবশ্যক বললেন ওবায়দুল্লাহ আল জাকির।

Post MIddle

অনুপ্রেরনা, আকর্ষণ আর পছন্দ

মা ও মামা আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুপ্রেরণার উৎস। নানা বাড়ি জামালপুর বেড়ানো ছিল প্রধান আকর্ষণ। কারণ ট্রেন জার্নি।গান শুনতে পছন্দ করেন।অভিনয় আর নির্দেশনা টানে সব সময়। ফতুয়া টাইপের পোষাক পছন্দ করেন।জুতার প্রতি অনিহা আছে। ঢেড়স ভাজি আর কৈ মাছ ওবায়দুল্লাহ আল জাকিরের ভীষন পছন্দের খাবার।

৪৪

প্রিয় ব্যক্তিত্ব

ড.ইউনুস,ফজলে হোসেন আবেদ,জামিলুর রেজা চৌধুরী

স্বরণীয় ঘটনা

আদমজীতে যখন সাধারন একজন ছাত্র হিসেবে ক্লাসের পাঠ শুরু তখন হঠাৎ একদিন অধ্যক্ষ এমবি চৌধুরী আমাকে একটি বানান ধরে বসলেন।কঠিন যে বানান আমার সহপাঠিরা সম্ভবত পারেনি সেই ডিসিপ্লিন বানানটি নির্দিধায় বলে দেওয়ায় প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সেই অবাক দৃস্টি খুব মনে পড়ে।এবং এর ফলেই সম্ভবত ক্লাসে আমার কাপটেন হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

ফিউচার লিডার তৈরীতে নিজেকে নিয়োজিত করা।

শিক্ষার্থীদের প্রতি

ফিউচার লিডার হতে হবে।লিডারশীপের স্বপ্ন দেখতে হবে।লেখাপড়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত যোগ্যতা অর্জন করাটা জরুরী।বিশেষত স্বশিক্ষিত হতে হবে।ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান কিংবা শিল্পি মমতাজকে কেউ কখোনো জানতে চাইবেনা জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল গ্রামে চলে যেতে হবে মিশতে হবে মা মাটি মানুষের সাথে।অবশ্যই দাদা-দাদী,নানা-নানীর সাথে সময় দিতে হবে।

DSC_0019২

পছন্দের আরো পোস্ট