বশেমুরবিপ্রবিতে ঘরোয়া খেলার অায়োজন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবপ্রবি) বাংলা বিভাগে এক ঘরোয়া খেলার অায়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা ডিপার্টমেন্টের অনার্স প্রথম বর্ষের সি. অার কামরুলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিবার (২১ অাগস্ট) বিভাগটিতে এ ধরণের ঘরোয়া খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ছয়টি ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। ইভেন্টে থাকবে ক্যারাম, দাবা, কার্ড, লুডু, চেয়ার সেটিং ও জালের ভেতর বল নিক্ষেপ। উল্লেখ্য যে, ছেলেরা ব্যতীত মেয়েরাও বিভিন্ন ইভেন্টে এ ধরণের মজার খেলায় অংশ নিতে পারবে।

Post MIddle

এছাড়া মেয়েদের জন্যও অালাদা কিছু ইভেন্টের অায়োজন করা হবে বলে কথা বলে জানতে পারা যায়। শুধু পুথিঁগত বিদ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের পুঞ্জিভূত না রেখে তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিকে সুনজরে এনে এমন সুষ্ঠু বিনোদনের অায়োজন করছে বাংলা ডিপার্টমেন্ট— এমনটিই বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা ডিপান্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি। শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না বশেমুরবিপ্রবি’র বাংলা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। তারা চায় শুধুমাত্র পুঁথিবদ্ধ এঁকঘেয়েমি শিক্ষাব্যবস্থায় নিজেদের কয়েদি করে না রেখে বাইরের জগৎকে অনুধাবন করতে হবে, জীবনের জটিল বাস্তবতাকে উপলব্ধি করতে হলে বাহ্যিক জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। তা হতে পারে বিভিন্ন ধরণের সুষ্ঠু বিনোদন যেমন, সঙ্গীত, নৃত্য, খেলা, কাব্যচর্চা, ভ্রমণ, বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে কোনো ভালো নাটক-সিনেমা দেখা, ডিপার্টমেন্টে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনে তা মঞ্চায়িত করা প্রভৃতি।

এরই ধারবাহিকতায় বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিকাশ সাধনে সবসময়ই একধাপ এগিয়ে বাংলা ডিপার্টমেন্ট। তারা ভ্রমণসহ বিভিন্ন ধরণের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও অাগাগোড়া জড়িত। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্মদিন উৎসবমুখর পরিবেশে পালণ করে থাকে।

বর্তমানে বশেমুরবিপ্রবি’র বাংলা বিভাগের শ্রদ্ধেয় সভাপতি অাব্দুর রহমান (সাগর), প্রভাষক মুমতাহানা মৌ, জাকিয়া সুলতানা মুক্তা ও সানজিদা হক মিশু অত্যন্ত দায়িত্ব ও নিপুণতার সঙ্গে তাদের কর্ম পালণের মধ্য দিয়ে এক বন্ধুত্বভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করতেও সক্ষম হয়েছে। তারা চায় শুধু পাঠ্যবই অধ্যয়নই ছাত্রজীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, বরঞ্চ বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে লুক্কায়িত রয়েছে সুপ্ত প্রতিভা। সেঁই সুপ্ত প্রতিভার যথার্থ বিকাশ কিভাবে ঘটনো যায়— এঁই বিষয়েও সর্বদা সুপরামর্শ দিয়ে থাকে বাংলা ডিপার্টমেন্টের সম্মানীয় শিক্ষকমণ্ডলী। তাইতো কবি দ্বিধাহীন কণ্ঠে প্রকৃত বাস্তবতার শরীরে কষাঘাত করে লিখে গিয়েছেন, `পুঁথিগত বিদ্যা অার পরহস্তে ধন/ নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন।’

বশেমুরবিপ্রবিতে এভাবেই ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে এখন অবধি বশেমুরবিপ্রবি’র এক অালোকিত ডিপার্টমেন্ট হিসেবে সুনাম অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে বাংলা ডিপার্টমেন্ট। সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই রয়েছে তাই বাংলা ডিপার্টমেন্টের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এসকল কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর খোন্দকার নাসিরউদ্দিনও বাংলা ডিপার্টমেন্টের পানে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে সর্বদা।##

পছন্দের আরো পোস্ট