চকরিয়ায় জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদাররেছিন চকরিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নাশকতা বিরোধী এক মানববন্ধন কর্মসূচি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮আগস্ট অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৪টি মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সহকারী শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

Post MIddle

জমিয়তুল মোদাররেছিন চকরিয়া উপজেলা উত্তরের সভাপতি ও আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি ও শাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস আনোয়ারি আল আযাহারির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আমজাদিয়া মাদরাসার শিক্ষক শহিদুল ইসলামের পরিলনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বদরখালী এমএস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বশর, খুটাখালী তমিজিয়া ফাজিল মাদরাসার অধক্ষ মাওলানা ওমর হামজা, শাহারবিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, আমজাদিয়া মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ নূরী, পালাকাটা দাখিল মাদরাসার সুপার আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল হোছাইন, জমিয়তুল মোদাররেছিন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কাকারা তাজুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা বেলাল উদ্দিন, মগবাজার উম্মাহাতুল মো’মেনীন মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল হোছাইন আনসারী ও জমিয়তুল মোদাররেছিন উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মানিকপুর মহিলা মাদরাসার সুপার মাওলানা মোর্শেদুল হক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেতুয়াবাজার হযরত ফাতেমা (রাঃ) মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ কবির হোছাইন, বরইতলী মাদরাসার সুপার মাওলানা জসীম উদ্দিন, হারবাং দাখিল মাদরাসা সুপার মাওলানা নুরুল আলম, বাটাখালী নূরীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ওসমান গণি, ডুলাহাজারা ইসলামিয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা নাছির উদ্দিন, সুপার মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, সুপার মাওলানা শিবলী নোমান প্রমুখসহ শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠার নাম দিয়ে নিরীহভাবে মানুষ খুন করা কোনভাবেই ইসলাম সমর্থন করেনা। সেদিন রাজধানী ঢাকার গুলশানের আর্টিসান রেস্তোরায় দেশী-বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গি গোষ্ঠী প্রমাণ করেছে; তারা প্রকৃত ইসলাম চায় না। মূলত; এধরনের হামলা সংঘটিত করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। জাতি আজ এসব জঙ্গি গোষ্ঠী কু-পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, শান্তি ও অনন্ত কল্যাণের ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে অবগত বলেই আজকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীতে সম্পৃক্ত করাতে পারেনি। যতোটা জঙ্গি হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তাতে জড়িত রয়েছে উচ্চবিত্ত পরিবার ও উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ পড়–য়া সন্তানেরা। বক্তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি নৈতিকমানে উন্নীত করার জন্য দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট