চুয়েটে নানা কর্মসূচিতে শোক দিবস পালন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৬ পালিত হয়েছে। সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। দিনের অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ, জাতির জনকের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা , জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত, তবারুক বিতরণ প্রভৃতি।

এ উপলক্ষে কেন্দ্রিয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: হযরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মোস্তফা কামাল, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও চুয়েটে জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

Post MIddle

রেজিস্ট্রার (অতি:দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বণিক, শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রশীদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রহমান ভূইয়া, কর্মকর্তা সমিতির সাধারন সম্পাদক জনাব আমীন মো: মুসা, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মো: জামাল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বিশ্বজিত ভট্টাচার্য, সদস্য জনাব আবদুল আল হান্নান, ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে জনাব সৈয়দ ইমাম বাকের, মুনতাসির সারোয়ার, প্রীতি রায় প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল আলম শোকাহত এ দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি অগাদ শ্রদ্ধা প্রকাশ করে বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বে। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিক-নির্দেশনা ও দর্শন দিয়েছেন। এখন সে দর্শন অনুসরণ করে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে হবে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্ব এখন বঙ্গবন্ধুর ভিশন ও দর্শন অনুসরণে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার লক্ষে নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পে আমরা অনেক সফলকাম হয়েছি। নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করে এখন দেশ গড়ার কাজে আতœনিয়োগ করতে হবে।##

পছন্দের আরো পোস্ট