বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বাার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস সোমবার বাকৃবিতে শোকর‌্যালী, পুস্প স্তবক অর্পণ, স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়েছে।

বাকৃবি জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট সোমবার সকালে বাকৃবির বিভিন্ন সংগঠনের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত শোক র‌্যালীটি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের সম্মুখ থেকে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শেষ হয়।

Post MIddle

র‌্যালী শেষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরীর সভাপতিত্বে শিক্ষক সমিতির সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ ছোলায়মান আলী ফকির।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা, কৃষি ও কৃষকের একান্ত আপনজন। সদ্য-স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সবুজ বিপ¬বের সূচনা হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভায় যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার কৃষকদের সমস্ত বকেয়া খাজনা ও সুদ তিনি মাফ করে দিলেন। ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা চিরতরে মওকুফের ঘোষণা দিলেন। জাতির জনকের নির্দেশে তৎকালীন সরকার পূর্ব জার্মানী থেকে বিমানে করে ৩৮,০০০ সেচযন্ত্র এবং ফিলিপাইন থেকে ‘আইআর ৮’ জাতের ধানের উন্নত বীজ আমদানী করে বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে বিতরণ করে সাড়া জাগিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন বাঙালী জাতির ললাটে স্বপ্নের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর তুলনা তিনিই শুধু । তিনি জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরেছি। তিনি ছিলেন এদেশের অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক। আজকের এ বেদনা বিধূর দিনে আমরা এই মহানায়কের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা । সেই সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ সেদিন নির্মমভাবে নিহত শিশু ও নারীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, নিকটাত্মীয়, এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।##

পছন্দের আরো পোস্ট