১১ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আবাসিক শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের হলে প্রবেশে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ওয়াইফাই সমস্যার সমাধান, নেট রুম চালু করা, ডাইনিং ও ক্যান্টিনে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং খাবারের মান বৃদ্ধি, হিটার ব্যবহারের সুযোগ প্রদান।

জানা যায়, গত ২১ জুলাই মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আলী আসগর নোটিশের মাধ্যমে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ডাইনিংয়ে খাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। হল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করায় বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা হল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

ওই দিন বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাবির ছাত্র উপদেষ্টা মিজানুর রহমান এবং মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষক দুলাল আলী মোল্লাহ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। তবে আগামী রবিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এক হলের শিক্ষার্থীরা অন্য হলে যাবে এটাইতো স্বাভাবিক। বন্ধুরা মিলে গ্রুপ স্টাডি করার জন্যও মতিহার হলে আসে। কিন্তু হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে অন্য শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।

তারা আরও বলেন, হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খারাপ হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীই রান্না করে খান। হিটার ব্যবহার বন্ধ করায় এসব শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সব হলের শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পেলেও শুধু মতিহার হলেই হিটার বন্ধ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আলী আসগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। জানতে চাইলে রাবির ছাত্র উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে উপাচার্য স্যার এবং হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তারা যাতে দুর্ভোগে না পড়ে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। ##