বেরোবিতে শিক্ষার্থী সাময়িক বহিস্কার

BEROBIরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছেন কর্তৃপক্ষ। বহিস্কৃত শিক্ষার্থীর নাম ফয়সাল আহম্মেদ ফাহিম। তিনি ইতিহাস ও প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী যার আইডি নম্বর ১০০৪০৩৯। এ বিষয়টি বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতরসূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একে এম নূর-উন-নবী ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করার সময় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ফয়সাল আহম্মেদ ফাহিমসহ আরো ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে উচ্চস্বরে গান গাওয়া বন্ধ করতে বলে। কিন্তু উপাচার্যের এমন নির্দেশে সবাই চুপ থাকলেও ফাহিম উপাচার্যের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে উপাচার্যের সাথে অশালীন আচরণ করে।

এই ঘটনায় পরবর্তীতে ১২ মে উপাচার্যের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান গোলাম রব্বানীকে আহবায়ক, প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) শাহীনুর রহমানকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত করা হয় এবং সেদিন থেকেই ওই শিক্ষার্থীকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়া পর্যন্ত এ শিক্ষার্থীকে সব ধরনের একাডেমকি কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Post MIddle

তবে এই ঘটনায় ১২ মে থেকে তাকে বহিস্কার করা হলেও গত রোববার ৭ আগস্ট রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে তাকে সাময়িক বহিস্কারের বিষয় বিভিন্ন দপ্তর ও নিজ বিভাগে লিখিত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে ইতিহাস ও প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম কবির বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত সে ক্লাস, পরীক্ষা দিতে পারবে না।’তিনি আরো বলেন,‘যদি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাকে দোষি সাব্যস্থ করা হয় তবে তাকে স্থায়ী বহিস্কারও করা হতে পারে। আর অন্যথায় তার ওপর আরোপিত এ আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।’

পছন্দের আরো পোস্ট