পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস কি বেশী চাওয়া হবে?
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রকৃতির চমৎকার উপহার। আল্লাহ যে এখানে সবুজের বাক্স খুলে দিয়েছেন। প্রকৃতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর মধ্যে চমৎকার একটি সম্পর্ক আছে। গুগল ম্যাপ অথবা দেখলে মনে হয় এটি সবুজের বাগান। চমৎকার এ ক্যাম্পাসের আমরা যারা বাসিন্দা অথবা ভিজিটর (ছাত্র/শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ সবাই) তারা কি এ চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশকে উপভোগ করি? আমাদের কি এমন মন মানসিকতা আছে?
যদি থাকত তাহলে আমাদের যার যার যেখানে দায়িত্ব সে যায়গাটুকু কি পরিবেশ সম্মত করে রাখছি? আমার মনে হয় অধিকাংশ উত্তর আসবে ‘না’।
ধরুন আমাদের ক্যাম্পাসটা যদি মরুভূমি হত,পাহাড়ের মত উঁচু নিচু হত, অথবা খড়া পীড়িত কোন স্থান হত তাহলে আমরা কি এত সহজে ক্যাম্পাসটা উপভোগ করতে পারতাম? অবশ্যই না।
ক্যাম্পাসের স্থাপনার আশপাশের পরিবেশ নোংরা, ক্লাস রুমগুলো অনেকটাই অপরিস্কার, হলগুলোর ভিতর ও বাহির অস্বস্থিকর অবস্থা, এক কথায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার যে দায়িত্ব যাকে দেয়া হয়েছে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না।
আর ক্যাম্পাসের একজন সদস্য হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন ক্যাম্পাস দুষিত করার কাজটি নিপুনতার সাথে করে যাচ্ছি। এ ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। ছাত্র-ছাত্রীরা যদি তাদের থাকার রুমটি ঠিকভাবে গুছিয়ে রাখে, শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীরা যদি তাদের নিজ স্থানকে পরিস্কার রাখে এবং নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা হয় তাহলে এ প্রাণের ক্যাম্পাসকে আরো সুন্দর করা খুব কষ্টের হবে না।
আসুন আমরা আমাদের মানসিকতার একটু হলেও পরিবর্তন করি। আমাদের প্রাণ প্রিয় ক্যাম্পাসকে আরো সুন্দর করি।
লেখকঃ সভাপতি,প্রভোস্ট কাউন্সিল ও অধ্যাপক.দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ.ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুস্টিয়া।