পড়ার চাপে কতটা ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের ?

7a2c12a8a304b4271e4113861da870b3শিশুর কাঁধে এখন শুধু বইয়ের বোঝা নয়, সেই সঙ্গে কোচিং, প্রাইভেট সহ হরেক রকম চাপ। ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষার্থী হলে তো কথাই নেই। সেই সঙ্গে আবার ‘এ প্লাস’ নামক আজব জিনিস পেতেই হবে এই মর্মে মা-বাবা আত্মীয়স্বজনদের চাপ তো রয়েছেই। শিশুদের ভাল করে খাওয়ার সময় নেই, খেলার সময় নেই,ঘুমানোরও সময় নেই। কিন্তু, জানেন কি এতে ঠিক কতটা ক্ষতি হচ্ছে আপনার সন্তানের?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন ইউনিভার্সিটির একটি গবেষনা জানাচ্ছে, কম ঘুমে শিশুদের মধ্যে দেখা দিতে পারে গভীর অবসাদ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ক্যানডিস আলফানো জানাচ্ছেন, গভীর ঘুম শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই দীর্ঘ দিন ধরে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অবসাদ, মানসিক দুশ্চিন্তার মতো নানান ইমোশনাল ডিসঅর্ডারে ভোগে শিশুরা।

Post MIddle

এই সমীক্ষার জন্য ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী ৫০ জন কিশোরকে পর্যাপ্ত ঘুমোতে দেওয়া হয়নি। এর পরেই এই সব শিশুদের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা লক্ষ করা যায়। পর পর দু’রাত অল্প ঘুমাতে দেওয়া হয় শিশুদের। দেখা যায়, তাঁরা সব কাজেই কম রেসপন্স করছে। তারা ভুলে যাচ্ছে বেশি এবং কাজে উৎসাহ পাচ্ছে না। যার ফলে অবসাদ গ্রাস করছে শিশুদেরকে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, খুব দেরি করে শুতে যাওয়া, তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য হওয়া বা ঘুমে ব্যঘাত শিশুদের কম ঘুম হওয়ার জন্য দায়ী। পড়াশোনার জন্য এত চাপ বাবা-মার প্রতি শিশুমনে বিতৃষ্ণার জন্ম দেয়। ক্রমেই শিশু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পরিবার থেকে। ফলে ধীরে ধীরে আপনার সন্তান হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।

জড়াতে পারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। তাই সতর্ক হোন। সন্তানকে হাঁফ ছাড়ার সময় দিন। নইলে পরে পস্তাতে হবে।

পছন্দের আরো পোস্ট