ঢাবি’র ৬ ছাত্রী পেল শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্বর্ণপদক

Pic. Bangamata Awardees২০১৫ সালের স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের ছাত্রী মাসুমা “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক” লাভ করেছেন। এছাড়া, বিভিন্ন বিভাগের ৫জন ছাত্রীকে “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বৃত্তি” প্রদান করা হয়েছে।

বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন

শাহাজাদী (ইসলামিক স্টাডিজ)

মুনিরা বিনতে ইকবাল (লোক প্রশাসন)

মুনিরা মাসরুরা (ইতিহাস)

নাবিলা জাহান জয়ী (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক)

Post MIddle

এবং সাদিয়াতুন রাস্না ইতি (উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ)।

আজ (৮ আগস্ট ২০১৬) সোমবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃতী ছাত্রীদের হাতে স্বর্ণপদক ও বৃত্তির চেক তুলে দেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

“নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক শাহানা নাসরীন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শোকের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঘাতকরা সেদিনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাই বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোক সারাদেশের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গমাতা একজন গৃহবধু হয়েও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ও ধীশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। স্বাধীকার আন্দোলনসহ নানা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে তিনি বিরল প্রজ্ঞার নজির স্থাপন করেছেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধ শিশুদের পুনর্বাসনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি কৃতী ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট