বড় মাপের লেখক হতে চায় আসাদ

বড় হওয়ার প্রবল আকাঙ্খা মানুষকে বড় করে তোলে। কিন্তু সেই জন্য প্রবল আকাঙ্খার পাশাপাশি দরকার চরম অধ্যাবসায়, পরিশ্রম আর ধৈর্য্যরে। বড় বড় মনীষিরা আর যাই হোক সেটিই হয়ত বাস্তবে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।

আসাদুজ জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আগে থেকেই তাঁর সাথে আমার পরিচয়। এই হলে থাকায় তাঁর সাথে আমার ঘনিষ্টতাও কম নয়। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তাঁর। সিরাজগঞ্জের একটি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই শান্ত-শিষ্ট আর হাসিখুসি ছেলেটি পড়াশুনা করছেন অর্থনীতি তৃতীয় বর্ষে। পরিবারের আর্থিক দৈন দূর্দশা থাকা সত্বেও নিজের মেধা, পরিশ্রম আর চরম অধ্যাবসায় দিয়ে ভর্তি যুদ্ধের গন্ডি পেরিরে চলে আসেন সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম এই ক্যাম্পাসে। নিজেকে একজন বড় মাপের লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার স¦প্ন দেখেন তিনি।

Post MIddle

ক্যাম্পাসে ভর্তি হওয়ার পর আর আট দশ জনের মত বসে থাকেননি তিনি। লেখালেখির প্রতি তার অনুরাগ যেন জীবন্ত রূপ খুঁজে পায় এই ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে। প্রথম দিকে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, যায়যায়দিন, কালেরকন্ঠ, জনকন্ঠ, সমকাল সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে ফিচার লিখে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন এই শিক্ষার্থী। ফিচার লেখার কারণে তাঁর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। পরিচিতি পান ‘ফিচারিষ্ট আসাদ’ হিসেবে। পরবর্তীতে কালের কন্ঠে ফিচার কন্ট্রিবিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। এই ফিচার লেখার পাশাপাশি তিনি ক্যাম্পাসে করে চলেছেন সাংবাদিকতাও । কাজ করছেন একটি নাম করা ইংরেজী দৈনিকে। সাংবাদিকতায় এসে সদস্য হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সামিতির।

ফিচার লেখা ও সাংবাদিকতা ছাড়াও নিজেকে জড়িয়েছেন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক কর্মকান্ডে। বর্তমানে তিনি ক্যাম্পাসের সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবেরও তিনি নিয়মিত সদস্য।

নিজের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিজেকে বড় মাপের একজন লেখক হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। লেখক হওয়ার স্বপ্ন যেন তাঁকে শক্তি যোগায়। তিনি প্রগতিশীলতাকেই বেশী পছন্দ করেন এবং সবসময় নতুন কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।##

পছন্দের আরো পোস্ট