বন্যায় ছুটি নেই চাঁদনীর পাঠশালা

Bogra-Flood-School-pic_BG20160801214207‘এমন মজা হয় না, গায়ে সোনার গয়না, বুবু মনির বিয়ে হবে, বাজবে কত বাজনা…’ ছড়ার নাম এমন মজা হয় না।শিক্ষিকা চাঁদনী আকতার তার পাঠশালায় ছড়ার এই লাইনগুলো ক্রমাগত উচ্চারণ করে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে আওড়াচ্ছিিলো শিশুরা। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রৌহদহ-কামালপুর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে গড়ে তোলা চেতনা প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।

 

চারদিক খোলা। শুধু বাঁশের খুঁটি রয়েছে। মাথার ওপর দেওয়া হয়েছে পলিথিনের ছাউনি। এভাবেই বানভাসি শিশুদের জন্য পাঠশালা গড়ে তোলা হয়েছে। ফুড ফান্ড হাংরি নামের একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে চলে এই পাঠাশালা।শিক্ষিকা চাঁদনী আকতার জানান, তিনি এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষকতা করেন। এখানে নার্সারি ও কেজি পর্যন্ত লেখাপড়া হয়। মোট ৩০জন শিশু এই পাঠশালায় লেখাপড়া করে।

 

Post MIddle

তিনি জানান, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বপাশে এই প্রতিষ্ঠান ছিলো। কিন্তু বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। কোনো রকম একটি খুপড়ি ঘর তুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এই পাঠশালায় পড়ুয়া প্রত্যেক শিশুকে মাসে মাত্র ৩০টাকা দিতে হয়।শিশু শিক্ষার্থী শারমিনের ভাষ্য, আমরা ছোট। প্রতিদিন পড়তে না পারলে ভুলে যাই। তাই কষ্ট করেও নিয়মিত ম্যাডারের স্কুলে আসি। একই কথা মনিকা ও মিমেরও।

 

বন্যা দুর্গত এলাকায় স্থানীয় চরচন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমও চলছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, বন্যায় স্কুলে আসতে শিক্ষার্থীদের বেশ সমস্যা হয়। এরপরও শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট