জাককানইবি’তে ছাত্রী হলে বিধি-নিষেধের প্রতিবাদ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ওপর বিধি নিষেধের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ ছাত্রীরা। সোমবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের দোলনচাঁপা ছাত্রী হলের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্রী এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়। দোলনচাঁপা হল থেকে তারা মিছিল বের করে জয় বাংলা চত্বর হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হন।

 
জানা যায়, গতকাল রবিবার রাত ৯টায় জুঁই নামের এক ছাত্রীকে হলে ঢুকতে না দেওয়ায় এবং ছাত্রীর সাথে হল শিক্ষকের অশোভন আচরণের অভিযোগে এবং হলের নিয়মের নামে নির্যাতন প্রতিবাদে হল প্রভোস্ট ও হল সুপারের পদত্যাগ দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন দোলনচাঁপা হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- রাত ৮ টার পরে হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাত্রীদের সাথে হল প্রশাসনের ‘অযৌক্তিক হয়রানি’ বন্ধ করা।

 

বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা স্লোগান দেন- নিয়মের নামে নির্যাতন মানি না মানবো না, আমরা কেন নির্যাতিত, হল কোনো খোয়াড় নয়/৮ টায় হলেই ঢুকতে হবে, প্রশাসনের খামখেয়ালি/মানব না-মানব না। মিছিল শেষে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন প্রোগ্রামে, এবং বিশেষ প্রয়োজনের হলের বাইরে থাকা আমার অধিকার এবং কাজ শেষে হলে ঢোকাও আমার অধিকার। এ অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হরণ করতে পারে না। এছাড়াও ছাত্রীরা হল প্রশাসনের বিভিন্ন হয়রানি ও বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, রাত ৮ টার পরে বিশেষ প্রয়োজনে কোন ছাত্রী হলে ঢুকতে এবং বাইর হতে গেলে হলের শিক্ষক ও সুপার দুর্ব্যবহার করেন।

 

Post MIddle

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় দোলনচাঁপা হলের প্রায় প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্রী। উক্ত সমাবেশে, অতিদ্রুত ৮ টার মধ্যে ছাত্রীদের হলে প্রবেশের নিয়ম বাতিলের দাবি করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

এ বিষয়ে, দোলনচাঁপা হল প্রভোস্ট আলফারুন্নাহার রুমা প্রতিবেদকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ রাত ৮ টার মধ্যে হলে উপস্থিত থাকার। দেশে চলমান জঙ্গি হামলা ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ছাত্রীদের সচেতনতায় ও তাদের নিরাপত্ত্বায় এ বিষয়ে গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রী হলে ছাত্রীদের নিয়ে একটি সাধারণ মিটিং করে তাদের আবারো জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রাত ৮টার পর হলে প্রবেশ করা নিষেধ। কিন্তু নিয়ম না মেনে কিছু সংখ্যক ছাত্রী হলে প্রবেশ করতে চায়। এর ফলে হলের নিয়ম শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে।

 

শিক্ষার্থী কে হলে ঢুকতে না দেওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না ঢুকতে পারায় আমি তাকে ১০মিনিট হল গেইটের ভিতর দাড় করিয়ে ভিতরে ঢুকার অনুমতি দেই তারমধ্যেই সে অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করেন। সাথে সাথে তাকে জরুরি ভিত্তিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করার ব্যবস্থা করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ফাহাদের সাথে কথা বলে আমার ছাত্রীর খোঁজ খবর নেয়। ##

পছন্দের আরো পোস্ট