স্কুল-কলেজে কমিটি হবে ভোটের মাধ্যমে
নির্বাচন ছাড়া বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসা স্কুল-কলেজের কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের (এমপি) সভাপতি পদ বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচন দিতে বলেছেন আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করতে আইনসচিব, শিক্ষাসচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব কথা বলা হয়েছে। গত ১ জুন বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা, ২০০৯-এর পঞ্চম ধারাকে বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। রবিবার সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হলো।
রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে তা কার্যকর হবে। সব ধরনের শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এই রায় প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া ওই নীতিমালার ৫০ ধারা অনুযায়ী যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ কমিটি আছে, তা অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। ফলে বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০১৫ সালের ১ জুন এই রায় ঘোষণার দিন থেকে কোনো বিশেষ কমিটি নেই।##