ইউল্যাবে জিম জারমুশের স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র প্রদর্শন

Jim Jurmusch coverমার্কিন চলচ্চিত্রকার জিম জারমুশের সিনেমা নিয়ে ‘জিম জারমুশ: এ স্ট্রেঞ্জার ইন আমেরিকা’ শীর্ষক ফিল্ম রিডিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিক্ষানবিস কার্যক্রম ‘সিনেমাস্কোপ’। তিনদিনব্যাপী এই আয়োজনে স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা জারমুশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ(ইউল্যাব)ক্যাম্পাসে।

 

হলিউডের রমরমা সিনেমা ব্যবসা-বিরোধী জিম জারমুশ। তার স্বাধীনচেতা চলচ্চিত্র তিনটি ধারায় ভাগ করে সিনেমাস্কোপের শিক্ষানবিস শিক্ষার্থীদের দেখানো হয়। আয়োজনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সঙ্গীত এবং সাহিত্যধারায় ২০১৩ সালে নির্মিত ‘ওয়ানলি লাভার্স লেফট অ্যালাইভ’ প্রদর্শন করা হয়। সিনেমা শেষে সাহিত্য এবং সঙ্গীতে জিম জারমুশের পদচারণা নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক সিনেমাস্কোপ সদস্য জাহিন ফারুক আমিন।

 

আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে সিনেমা-সংকলন ধারা থেকে ‘নাইট অন আর্থ’ এবং ‘কফি এ্যান্ড সিগারেটস’ দেখানো হয়। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শেষে সিনেমা-সংকলন এবং জিম জারমুশের রাজনৈতিক প্রচারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

Post MIddle

হলিউড বিবর্জিত স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রের সূচনা নিয়ে প্রদর্শনীর শেষদিনে ‘দ্য লিমিটস অব কন্ট্রোল’ এবং ‘স্ট্রেঞ্জার দ্যান প্যারাডাইস’ উপভোগ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রদর্শনীর শুরুতে ইরানী চলচ্চিত্রকার আব্বাস কিয়ারোস্তামির অন্তর্ধানে শ্রদ্ধাস্বরূপ ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন শিক্ষানবিস শিক্ষার্থীরা।

 

প্রদর্শনী শেষে জিম জারমুশ এবং বাংলাদেশের সিনেমা প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তৃতা করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক ইমরান ফিরদাউস।

 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমার উৎকর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ফিল্ম ক্লাবগুলো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে স্বদেশি চলচ্চিত্রের নিজস্বতাকে পুঁজি করেই সিনেমা তৈরি করতে হবে আমাদের। জিম জারমুশসহ অন্যান্য স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রকারদের চলচ্চিত্র ধারা মেনে নিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনন্যতা বজায় রাখতে হবে।’

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট