ঈদের ছুটিতে অচেনা ঢাবি ক্যাম্পাস

কলাভবন, টিএসসি, হাকিম চত্ত্বর কিংবা মধুর ক্যান্টিন। সবই আছে আগের মত। কিন্ত এ যেন নিষ্প্রাণ, অচেনা এক ঢাবি ক্যাম্পাস। যে সব জায়গা তারুণ্যের উচ্ছাসে সজীব থাকে তা যেন আজ কোন এক অজানা শোকে কাতর। শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতা, বন্ধুত্ব আর আড্ডাই যে এসব জায়গার প্রাণ। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে ভবনের কর্মচারী ছাড়া কদাচিৎ দুই একজন শিক্ষার্থীর দেখা মিলে। কেউ বিশেষ প্রয়োজনে বা কর্তব্যের জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও তাদের মন যে পড়ে থাকে গ্রামে পরিবার-পরিজনদের কাছে। তাই তাদের মুখচ্ছবিও থাকে ক্যাম্পাসের মতই মলিন।  শুণ্য, নীরব-নিস্তব্ধ  এমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তো অচেনাই বটে।

 

ঢাবিতে এ বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেয়া হয়নি। সব ছুটি মিলিয়ে দেয়া হয়েছে রমজানে। আর তাই রমজান, শব-এ-ক্বদর ও ঈদ-উল-ফিতর মিলিয়ে টানা প্রায় ৪০ দিন ছুটি পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যদিও বেশ কিছু বিভাগে রমজানের ছুটিতেও পরীক্ষা নেওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ছুটি পেয়েছে অর্ধেক রমজান পেরিয়ে যাওয়ার পর।

 

Post MIddle

ঈদের ছুটি মানেই ঘরে ফেরা। আর তাই সর্বদা উচ্ছ্বলতায় ভরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন ঝিমিয়ে পড়ছে। কোলাহলে পূর্ণ এই বিদ্যাপীঠের প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশই ঈদের এই সময়টাতে নাড়ীর টানে ঘরে ফেরে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে কাটানো এই সময়টাতে পুরো ক্যাম্পাস থাকে সম্পূর্ণ ফাঁকা।

 

ইতিমধ্যেই অধিকাংশ হল প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। হলের ক্যান্টিনগুলো রমজান মাসে বিশেষ ব্যবস্থায় খাবার সিস্টেম চালু রাখলেও ২০/২৫ রোযার পর এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা এ ছুটির সময়ে হলে অবস্থান করে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পলাশীর বিসমিল্লাহ হোটেল আর নীলক্ষেতের মামা হোটেলই তখন তাদের শেষ ভরসা। এছাড়া ঈদের দিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে হল কর্তৃপক্ষ। ##

পছন্দের আরো পোস্ট