চাইলেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না এমপিরা
বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা, ২০০৯-এর ৫(২) ও ৫০ বিধি বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সাংসদেরা ইচ্ছা করলেই পদাধিকারবলে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না। তবে চাইলে সাংসদেরা নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি হতে পারবেন।
একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই রায় দেন। রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান বলেন, আদালত ৫(২) ও ৫০ বিধি বাতিল করেছেন। এর ফলে সাংসদেরা ইচ্ছা করলেই আর সর্বোচ্চ চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না। তবে প্রবিধানমালার ৫ (১) উপবিধি অনুসারে স্থানীয় সাংসদেরা সর্বোচ্চ চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন।
গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়ন-সংক্রান্ত প্রবিধানমালার ৫ (১) উপবিধিতে বলা হয়েছে, কোনো স্থানীয় নির্বাচিত সংসদ সদস্য তাঁর নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত বোর্ডের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এমনসংখ্যক উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন যেন ওই এলাকায় অবস্থিত, এই প্রবিধানমালার আওতাভুক্ত নয়, এমন অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ, তাঁর এ ধরনের দায়িত্ব গ্রহণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারের বেশি না হয়।
আর ৫(২) উপবিধিতে বলা হয়েছে, ৫(১) বিধির অধীনে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য স্থানীয় নির্বাচিত সংসদ সদস্য, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত যেসব উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তার উল্লেখসহ লিখিতভাবে এ প্রবিধানমালার অধীন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে তাঁর অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন এবং এ অভিপ্রায়পত্র সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলোর সভাপতি হিসেবে তাঁর মনোনয়ন হিসেবে গণ্য হবে।
তা ছাড়া এই রায় অনুসারে ৫০ বিধি আর থাকছে না। এই বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ ধরনের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি বিশেষ পরিস্থিতে বোর্ড এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ ধরনের গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমতে ম্যানেজিং কমিটি করা যাবে।’ রায়ের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।#