ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তান পালন বিষয়ে সেমিনার

জৈবিক, মানসিক, জ্ঞানীয় এবং সামাজিক পরিবর্তনের কারণে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে কৈশোর সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সচেতনতা থেকে ব্র্যাক বিশবিদ্যালয় তাদের ছাত্র ছাত্রীদের ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে পিতামাতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং ইউনিট ২৮ মে, ২০১৬ “সন্তান লালন পালনে পিতা-মাতার ভূমিকা” শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। কৈশোর অতিবাহিত ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের ভূমিকা, তাদের অভিজ্ঞতা এবং একই সাথে এই সময়ে সন্তানদের সাফল্য লাভের জন্যে বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাতে আলোকপাত করা ছিল এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।

 

সেমিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান মনোবিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল এবং কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মেহতাব খানম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং ইউনিটের প্রভাষক এবং সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর সাফিনা বিনতে এনায়েত। শুরুতে সাফিনা বিনতে এনায়েত বাবা-মায়েরা সচরাচর তাদের সন্তানদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য যে বিভিন্ন ধরনের দৃঢ়তামূলক এবং যতœসূচক উক্তি ব্যবহার করেন সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। এই আলোচনার সূত্র ধরে উপস্থিত পিতা-মাতাদের নিয়ে একটি দলবদ্ধ কার্জ সম্পাদন করা হয় যেখানে তাদের সামনে কিছু কল্পিত পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় এবং পূর্বালোচনার ভিত্তিতে সেই পরিস্থিতিতে তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে লিখতে বলা হয়। এর মাধ্যমে পিতা-মাতারা সন্তানদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের নতুন কিছু ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন।

 

Post MIddle

সেমিনারের দ্বিতীয় পর্যায়টি পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. মেহতাব খানম, যেখানে তিনি দলবদ্ধ কার্জে প্রদত্ত পরিস্থিতিগুলোতে পিতা-মাতারা কিভাবে এই নতুন যোগাযোগের প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে তাদের সন্তানদের সাথে কার্যকরভাবে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন এবং পিতা-মাতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

 

সেমিনারে পিতা-মাতারা তাদের অভিজ্ঞতা ব্যাক্ত করে এবং তাদের বিভিন্ন সম্যসার কথা বলতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিশেষে, আমন্ত্রিত সকল পিতা-মাতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারটি শেষ করা হয়।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট