শাবিতে আট বছরে ছয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Sahjalal Universityশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে অধ্যয়নরত অবস্থায় হারিয়েছে ২৪ জন শিক্ষার্থীকে। এর মধ্যে মানসিক বিপর্যয় সইতে না পেরে শুধু গত আট বছরে আত্মহত্যা করেছে ৬ শিক্ষার্থী।

 

২০০৯ সালে প্রেমজনিত কারণে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্রী ঝর্ণা, একই কারণে ২০১০ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা সুলতানা এনি। ২০১১ সালে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সৈকত আল ইমরান, ২০১২ সালে শ্রীনিবারণ। ২০১৫ সালে অজ্ঞাত কারণে স্থাপত্য বিভাগের ছাত্র শাহারিয়ার মজুমদার এবং সম্প্রতি ৭ মে ২০১৬ বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ছাত্র বিশ্বজিৎ মল্লিক আত্মহত্যা করেন।

 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্বিকতা লক্ষ্য করা গেলেও এগিয়ে এসেছে নৃবিজ্ঞান বিভাগ। মানসিক বিপযর্য় রোধে প্রতিটি ব্যাচ অনুযায়ী আলাদা আলাদা শিক্ষককে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এই বিভাগ।

 

নৃবিজ্ঞান বিভাগের নোটিশ বোর্ডে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. একেএম মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে ব্যাচভিত্তিক পরামর্শকদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা তাদের যে কোনো সমস্যায় পরামর্শকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পরামর্শকরা হচ্ছেন, সহযোগী অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া (২০১৫-১৬ ব্যাচ), সহকারী অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান (২০১৪-১৫ ব্যাচ), সহাকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার (২০১৩-১৪ ব্যাচ), সহকারী অধ্যাপক চৌধুরী ফারহানা ঝুমা (২০১২-১৩ ব্যাচ), সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন (২০১১-১২ ব্যাচ), সহকারী অধ্যাপক হালিমা আক্তার (২০১৪-১৫ ব্যাচ, মাস্টার্স)।

 

Post MIddle

নোটিশ বোর্ডে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিষয় ব্যতীত একাডেমিক ও ব্যক্তিগত যে কোনো সমস্যায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ব্যাচের পরামর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।

 

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, সময়ের প্রয়োজনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নিজেদের তাগিদ থেকেই তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।

 

সহাকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার জানান, মানসিক বিপর্যয় থেকে ক্ষতিকর কোন পদক্ষেপ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

লেখাপড়া২৪.কম/শাবি/সাফকাত/

পছন্দের আরো পোস্ট