‘মৌমাছিবান্ধব’ ক্যাম্পাস!

০০একবার ভাবুন তো, এমন একটা জায়গায় গেছেন আপনি, যেখানে চেনা-অচেনা নানা ফুলের গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জনে ভরে আছে পুরো এলাকা। এখানে-ওখানে চোখে পড়বে মৌচাকেরও। শহুরে জীবনে এমন দৃশ্য ‘বিরল’। তবে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমনটি শিগগিরই দেখা যাবে। দেশটিতে প্রথম মৌমাছিবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

মৌমাছিবান্ধব হওয়ার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেডউড ভবনের চারপাশে পরাগসমৃদ্ধ ফুলের চাষ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। উদ্যোগ সফল করতে এগিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরাও। দাতব্য সংস্থা বাগলাইফ দিচ্ছে সহায়তা। রেডউড ভবনের ছাদে এরই মধ্যে তিনটি মৌচাক তৈরি করেছে মৌমাছিরা। এমন আরও মৌচাক তৈরির জন্য ক্যাম্পাসের আরও কয়েকটি স্থান নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।

 

হঠাৎ করেই যে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় মৌমাছিবান্ধব হতে শুরু করেছে, তা কিন্তু নয়। বেশ আগে থেকেই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্কুল অব ফার্মাসি অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগ মৌমাছি-সংক্রান্ত কয়েকটি গবেষণা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো উদ্ভিদজাত ওষুধের সন্ধান।

 

Post MIddle

এ ব্যাপারে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জেমস ব্লাক্সল্যান্ড বলেন, ‘দিনে দিনে আবাসহীন হয়ে পড়ছে মৌমাছিরা। আমাদের এই উদ্যোগ মৌমাছি রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে। মানুষ জানতে পারবে, কোত্থেকে মধু আসে। এ ছাড়া উদ্যোগটি আমাদের গবেষণায় সহায়ক হবে।’

 

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বেশ আগেই প্রমাণিত হয়েছে, মানুষের খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশের জোগানে প্রজাপতি, মৌমাছির মতো পতঙ্গদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মধু আহরণে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর সময় পরাগায়ন ঘটায় এরা। এ পরাগায়নের ওপরই প্রায় সব উদ্ভিদের ফল উৎপাদন নির্ভর করে। কাজেই প্রজাপতি, মৌমাছিসহ তাদের প্রজাতির পতঙ্গগুলোর বিলুপ্তি ঘটলে ব্যাপক খাদ্যসংকটে পড়বে পৃথিবীবাসী। কিন্তু নগরায়ণ এবং চাষাবাদে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন ঘটানো এ পতঙ্গরা বিলুপ্তির হুমকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বাগলাইফের মাইকেল বেলস।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট