কুবিতে অনিয়ম প্রতিরোধের উড়ো চিঠি

 

KUMILLAপ্রগতিশীল মানসিকতা সম্পন্ন, মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে প্রশাসনিক কাঠামো প্রস্তুতকরনের আহবান জানিয়ে সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে উড়ো চিঠি দিয়েছে সমাজ চেতনা নাগরিক সমাজ, কুমিল্লা শাখা। পত্র সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কুমিল্লা দূর্নীতি দমন ব্যুরো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকেও অনুরুপ পত্রের অনুলিপি দেওয়া হয় । পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নেশাগ্রস্থ হওয়া, অফিস ফাঁকি ও অনিয়ম, শিক্ষকের সনদ জালিয়াতি এবং এডহক (অস্থায়ী) নিয়োগের বিষয়সহ একাধিক অভিযোগ দেখানো হয়।

 

 

 
চিঠি মারফত জানা যায়, বুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার প্রকৌশলী শহীদ উল্লাহ খান, সেকশন অফিসার ও সদর দক্ষিণের মো: জাকির হোসেন এবং সালমানপুরের জাহাঙ্গীর, কম্পিউটার অপারেটর দেবিদ্বারের জি এম মনিরুজ্জামান তুষার নেশাগ্রস্থ, মেধাহীন এবং অফিসে অনিয়ম করে আসা যাওয়া করেন। জাকির হোসেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারি কাজে প্রায়ই ব্যস্ত থাকেন। তিনি শুধুমাত্র সকাল-বিকালে এক ঘন্টা করে অফিস করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী সালমানপুরের আব্দুল লতিফ সকাল-বিকাল এক ঘন্টা করে অফিসে সময় দেন। প্রায়ই পারিবারিক কাজ, জমির দালালি ও জুয়া খেলায় ব্যস্থ থাকেন তিনি। এমনকি ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে জুয়ার আসর থেকে অত্র এলাকার কয়েকজন লোকসহ তিনি গ্রেফতার হন। পরে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

 

Post MIddle

 
এছাড়াও পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক আছেন যারা তাদের বিভিন্ন পেশাগত সনদ (পিএইচডি ডিগ্রী) জালিয়াতি করে চাকরি করছেন। বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের উপর জরিপ করে জানা যায়, এই সমস্ত অদক্ষ, নেশাগ্রস্থ, অনিয়মকারীদের নিকট থেকে কোন ধরনের প্রশাসনিক সুবিধা পাওয়া যায় না এবং ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভবনাও নেই। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হুমকি স্বরূপ। মাঝে মাঝে তারা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 

 
সেকশন অফিসার জাকির হোসেনের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চিঠির বিষয় তার জানা নেই বলে জানান এবং অফিসে অনিয়ম করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। মো: আব্দুল লতিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও অফিসে দেখা করতে বলেন।

 
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল চিঠির বিষয়ে বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক চিঠিই আমার কাছে আসে। এ রকম একটি চিঠির অনুলিপি মনে হয় আমি পেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ চিঠির বিষয়ে বলেন, ‘আমি সকল চিঠিই রেজিস্ট্রারকে মার্ক করে দেই।’ তিনি এ ব্যাপারেে রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

 
প্রকাশ থাকে যে, সেকশন অফিসার জাকির হোসেন ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ক্লাস বর্জন কর্মসূচী পালন কারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও তিনি প্রায়ই অফিস ফাঁকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। গত কয়েক দিন ধরে অফিসে গিয়ে জাকির হোসেনকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি সেকশন অফিসার পদে কর্মরত থেকেও ব্যক্তিগত কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নামের আগে অধ্যক্ষ ব্যবহার করেছেন বলে জানা যায়।

 

পছন্দের আরো পোস্ট