লাগাতার আন্দোলনে আইসিটি শিক্ষকরা
এবার বেতন-ভাতার সরকারি অংশের (এমপিও) দাবিতে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘আইসিটি’ শিক্ষকরা। সরকার তাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। রোববার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ এমপিওবঞ্চিত আইসিটি শিক্ষক সংগঠন’র ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন দীর্ঘ কয়েক বছর বিনা বেতনে চাকরি করা এসব শিক্ষক। সারা দেশের কয়েকশ’ শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আইসিটি শিক্ষকরা জানান, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর মাউশি এক হাজার ৩৫২ আইসিটি শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে। এর বাইরে মাদরাসার ৫০০ এবং কলেজ পর্যায়ের ১০০ শিক্ষক এমপিওবঞ্চিত লাগাতার আন্দোলনে রয়েছেন। তবে মাউশি সূত্র জানায়, দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ২৭ হাজার। এর মধ্যে ১৪ হাজার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় ‘আইসিটি’ বিষয়ের শিক্ষক নেই। বাকি ১৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক থাকলেও ১ হাজার ২২৪ শিক্ষক সরকারের বেতন-ভাতা সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নেয়া আইসিটি শিক্ষকরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথেই লাগাতার অবস্থান করবেন। তাদের দাবি, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে তাদের এমপিও দিতে হবে। এছাড়া দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।
তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম শামীমুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘আইসিটি’ সেক্টরকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিলেও ধুঁকে ধুঁকে চলছে আইসিটি শিক্ষা। কম্পিউটার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চাকরিতে যোগদানের সময়কাল থেকে এমপিওভুক্তি নিশ্চিতের দাবিও জানান আইসিটি শিক্ষকদের এ নেতা।#
আরএইচ