প্রধান শিক্ষক অপসারনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

photo-2বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১১৪ নং বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেনের অপসারন ও বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল ও ক্লাস বর্জন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

 

অভিযোগে জানা গেছে, রোববার ওই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির মায়ের মৃত্যুতে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ছুটি দিয়ে প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন তার সহকারি শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিন বিথীকে অফিসিয়াল কাজে বসিয়ে দিয়ে তিনি সভাপতির বাড়িতে যান। সেখান থেকে স্কুলে ফিরে ফারজানাকে কুপ্রস্তাব দেন। এক পর্যায় এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ওই দিন বিকেলে শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিন বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনিসুর রহমান কে লিখিতভাবে জানান।

 

Post MIddle

তিনি এ বিষয়টি তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনার দিন দুপুরে স্থানীয় জনতা ও ছাত্র-ছাত্রী অভিবাকবৃন্দ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেনের অপসারন ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।এবং মারমুখি অবস্থান নিয়ে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনা জানতে পেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, পুলিশের এস আই ফারুক ও এস আই তুহিন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিন এর অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগিয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে ওই প্রধান শিক্ষককের অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ জানান, তাকে বিষয়টি আগে জানানো উচিত ছিল। তাহলে এ উদ্বদ্ধু পরিস্থিতি সৃষ্টি হতোনা।

 

শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেরা চেয়ারম্যন এ্যাডঃ শাহ-ই-আলম বাচ্চু কে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবহিত না করায় তিনি ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । জেলা শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমাদ্দার বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট