জাতীয় শিশু-কিশোর কুইজ উৎসবের পুরস্কার বিতরণী
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ‘জাতীয় শিশু-কিশোর কুইজ উৎসব’ ২০১৬ এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি।
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বিশ্বায়নের ফলে জ্ঞান বিজ্ঞানের সব দরজা মানুষের জন্য খোলা। সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হলে নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত যুক্তিবাদী, দেশ প্রেমিক, পরমসহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তৈরি করতে হবে আগামী দিনের জন্য। এক্ষেত্রে বিতর্ক ও কুইজ শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে।

শিশু একাডেমীর পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশি শিশু একাডেমী শিশুদের সার্বিক বিকাশের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি ও ই-বিনোদনের এই যুগে শিশুরা ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে যেন নিজস্ব সৃজনশীলতা বিকাশে সক্ষমতা অর্জন করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে সে ব্যাপারে শিশু একাডেমী সবসময় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। শিশু একাডেমী গ্রন্থাগারের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রন্থাগার সেবার পাশাপাশি গ্রন্থাগারভিত্তিক বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিশু একাডেমীর গ্রন্থাগার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজিনা আক্তার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুইজার্স বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইরফান মোহাম্মদ আবীরসহ একাডেমীর কর্মকর্তাবৃন্দ।প্রসঙ্গত, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা অন্বেষণে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপি ‘জাতীয় শিশু-কিশোর কুইজ উৎসব’ ২০১৬ শুরু হয়। এতে সারাদেশের তিন শতাধিক স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
জাতীয় শিশু-কিশোর কুইজ উৎসব ২০১৬ এর স্লোগান হচ্ছে ‘মুক্ত জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল হোক ধরা’। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে কুইজার্স বাংলাদেশ। ৬৪টি জেলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৬৪ জেলার বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ৮টি আঞ্চলিক উৎসব। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় উৎসব।