দেশ সেবার জন্য ইচ্ছে এবং আন্তরিকতা থাকা জরুরি।ড. গোলাম এম মাতবর

Prof Dr Golam Matborড. গোলাম এম মাতবর, বাংলাদেশী আমেরিকান। আমেরিকার মুনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক এবং বর্তমানে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। জন্ম চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায়। কানাডার ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে পিএইডি ডিগ্রিধারী। সম্প্রতি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মুনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য ঢাকা আসেন। ঢাকায় অবস্থানকালে ড. গোলাম এম মাতবর সামাজিক উন্নয়ন, সুশাসন-সুনীতি ও গণমাধ্যম, অভিবাসী, দারিদ্র বিমোচন সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়ে একান্ত আলাপচারিতায় আহমেদ সুমনের সঙ্গে কথা বলেন।বিশিস্ট শিক্ষাবিদের এ সাক্ষাৎকারটি লেখাপড়া২৪.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

 

ঢাকা থেকে কানাডা এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় স্থায়ী
শুরুতে আমার ছেলেবেলার কথা জানাতে চাই। আমি কুতুবদিয়া হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিউটে ভর্তি হই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো রেজাল্ট করি। বৃত্তি পেয়ে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাই মাষ্টার্স করতে। এরপর কানাডার ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচ.ডি প্রোগ্রামে ভর্তি হই। ১৯৯৯ সালে ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম অনুষদ থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করি। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে বাংলাদেশী আরো শিক্ষার্থী পিএইচ.ডি অর্জন করেছেন, তবে সমাজকর্মে আমিই প্রথম বাংলাদেশী পিএইচ.ডি ডিগ্রিধারী। পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জনের পর পরই আমেরিকায় শিক্ষকতা করার সুযোগ আসে। ১৯৯৯ সালে আমেরিকার এগারোটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ জন্য আমার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে।

 

আমি ১৯৯৯ সালে মুনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যাপক পদে যোগদান করি। আমি নূন্যতম সময়ে ২০০৩ সালে মাত্র চার বছরের মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করি। পরবর্তী চার বছরে ২০০৮ সালে আমি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করি। মুনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষককের সংখ্যা তিনশ’র ওপর। এরমধ্যে অধ্যাপক আছেন ২৯জন। আমি তাদের একজন। ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর আমি স্কুল অব হিউম্যানিটিস এ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্স এর সহযোগী ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সহযোগী ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমি এ অনুষদের অধীনে দর্শন, ধর্ম ও ইন্টারডিডিপ্লিনারী স্টাডিজ বিভাগ খোলার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখি।

 

কর্তৃপক্ষ আমাকে এ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পন করে। সহযোগী ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে আমাকে সমাজকর্ম বিভাগের মাষ্টার্স অব সোশাল ওয়ার্ক প্রোগ্রামের আন্তর্জাতিক ও কমিউনিটি উন্নয়ন ডিগ্রির পরিচালক পদে নিয়োগ করা হয়। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি দারিদ্রতা সম্পর্কে বিশেষ অভিজ্ঞতার জ্ঞান কাজে লাগাই। দারিদ্রতা দূরীকরণে আমি নতুন কিছু কর্মকৌশল নীতি তৈরি করি, যা আমার জন্য অনেক সম্মান বয়ে আনে। কর্মকৌশলগুলো আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাদৃত হয়। মুনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল স্টাডিজ আমাকে এ জন্য ‘ডিস্টিংগুইচ লিডার’ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। আমি এখানে জানাতে পারি যে, দারিদ্রতার বৈশিষ্ট্য সব দেশেই অভিন্ন। দারিদ্রতার ঘূর্ণচক্র সবখানেই একই রকম। আমেরিকায়ও যারা গরিব বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি, তারা আরও পিছিয়ে পড়ছে। আবার যারা সম্পদশালী, তারা আরো সম্পদের মালিক হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ হতাশায় গ্রস্থ হয়ে অবৈধ ও ক্ষতিকর কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে।

 

দেশ সেবার জন্য ইচ্ছে এবং আন্তরিকতা থাকা জরুরি
আমি মনে করি না যে, বাংলাদেশের মেধাবী স্কলারগণ বিদেশে স্থায়ী হলে দেশের মেধা পাচার হয় বা মেধা কমে যায়। দেশ সেবার জন্য ইচ্ছে এবং আন্তরিকতা জরুরি। ইচ্ছে এবং আন্তরিকতা থাকলে বাংলাদেশের মেধাবী স্কলার তিনি বিশ্বের যে দেশেই থাকুন না কেন, দেশ সেবা বা দেশ গড়ার কাজে অবদান রাখতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশের ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি বলতে পারি, বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকগণ অনেক মেধাবী। প্রশ্ন রাখা যায়, বাংলাদেশে মেধার বিকাশ ঘটার সুযোগ যথেষ্ট আছে কী? আমি আমেরিকায় শিক্ষকতায় নিযুক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্ব পালনের এই সুযোগ পেয়ে আমি সফলতা দেখাতে পেরেছি। এই সাফল্য বা দক্ষতা দেখানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমি এখন আমেরিকার নাগরিক হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। নাড়ীর সম্পর্ক কখনোই ছিন্ন হতে পারে না। আমি নিয়মিত বাংলাদেশে আসি। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্র উন্নয়নে আমি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এরমাধ্যমে এই তথ্য ফুটে উঠে যে, মেধার পাচার নয়- বরং মেধার অনুশীলনের মাধ্যমে আরো মেধাবীদের সুযোগ করে দেয়া যায়। আমি বাংলাদেশী মেধাবীদের খুঁজে ফিরি। তাদের সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করি।

 

 

এআইবিএস কার্যক্রম
এআইবিএস হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখার একটি বড় প্রতিষ্ঠান। বিগত শতকের আশির দশকের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠিত এআইবিএস বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। এআইবিএস মনে করে যোগাযোগই সংযোগ স্থাপন করে এবং সংযোগই মানুষকে উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী করে। এআইবিএস বাংলাদেশের শিক্ষক ও গবেষকদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়র ফেলোশীপ প্রদান করে আসছে। একটি উন্নয়নশীল দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা কীভাবে মোকাবেল করে, তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করার জন্য এআইবিএস এর ফেলোগণ বাংলাদেশেও আসেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যা, রাজনীতি, যুৎসই উন্নয়ন, নারীর অবস্থান ও সংখ্যালঘু অধ্যায়ন, ধর্ম, নগরে অভিবাসী, ব্যাংকি এবং সরকার ও সুনীতি প্রভৃতি নিয়ে এআইবিএস কাজ করে।

 

Post MIddle

আমি এআইবিএস-এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা ও সহযোগিতামুলক সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ )স্বাক্ষর করেছি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গেও এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এরমাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকগণ বিশেষ উপকার পাবেন। মুনমাউথ এবং আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও গবেষণা সুযোগ ঘটবে এর মাধ্যমে। আমেরিকার ছাত্র-শিক্ষকগণ এভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানবে এবং বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষক ও গবেষকগণও আমেরিকা সম্পর্কে জানতে পারবে। পারস্পরিক চেনা-জানার মধ্যদিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায় এবং নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নতুন নতুন কাজের সুযোগও সামনে চলে আসে।

 

 

অভিবাসী সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা
সবাই জানেন যে, আমেরিকা অভিবাসীদের দেশ। অব্যাহতভাবে অভিবাসী আগমনে আমেরিকার আদিবাসী বলে পরিচিত রেড ইন্ডিয়ান বা কালো আমেরিকানরা এখন সংখ্যালঘু। সাদা আমেরিকানরা এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরপাশাপাশি রয়েছে এশীয়, আফ্রিকান এবং অন্যান্য স্থান থেকে আগত অভিবাসী। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে অনেকেই জানেন যে, আমেরিকায় আগত অভিবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ নানা ধরনের অবৈধ কীর্তিকলাপে জড়িয়ে যাচ্ছে। অভিবাসীদের এই অবৈধ কার্যকলাপ রোধকল্পে আমেরিকা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমারও সুযোগ হয়েছে, এ বিষয়ে কাজ করার। মুনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে কৌশলপত্র প্রণয়নের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি দুই বছর আমেরিকার অভিবাসী নিয়ে কাজ করি। আমি নানা শ্রেনি ও পেশার মানুষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠির অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলেছি আমেরিকার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির লোকজনের সঙ্গে। নিউ জার্সি রাজ্য সরকার আমাকে এ ব্যাপারে সবার্ত্মক সহযোগিতা করেছে। অবৈধ কাজকর্মে যারা জড়িত মূলত তারা বিপথগামী, তবে নিজে সেটা মনে করে না। মতাদর্শ বিশ্বাস এবং মতাদর্শ দ্বন্দ্ব এখানে অনেক বেশি কাজ করে।

 

সুশাসন-সুনীতি ও মিডিয়া 

সুশাসন ও সুনীতির কথা সবাই বলে। কিন্তু সুশাসন ও সুনীতি কীভাবে আসবে, সেটাও বলা প্রয়োজন। ২০১১ সালে আমি ঢাকায় সুশাসন বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করি। সম্মেলনে বিশ্বের ৪৭টি দেশের ৩৫৭জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে সুশাসনের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা উঠে আসে। আসলে সুশাসনের জন্য সামাজিক উন্নয়ন অতি জরুরি। সুশাসন ও সামাজিক উন্নয়ন পরস্পর পরস্পরের বাহন। অনগ্রসর বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি সমাজে সুশাসনের ধারণা সম্পর্কে সবাই জ্ঞাত থাকে না। সুশাসনের জন্য শিক্ষার হার অন্যতম ভেরিয়্যাবল (চলক)। শিক্ষা মানুষের ভেতর চেতনা সৃষ্টি করে। ভালো-মন্দ বুঝতে শেখায়। প্রতিবাদের সাহস যোগায়। আর্থিক সঙ্গতি মানুষকে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে উৎসাহী করে তোলে।

 

সুতরাং সুশাসন একক একটি বিষয় নয়। বেশ কয়েকটি অনুষঙ্গ এখানে কাজ করে। আবার সুশাসন যেহেতু মানুষের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, এ কারণে ব্যক্তি মাত্রই উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্র বা সমাজের দায়িত্ব যেমন ব্যক্তিকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা বা সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠার সুযোগ দেয়া, তেমনি সুনাগরিকের দায়িত্ব হলো সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং সুস্থ্য সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখা। এই সবগুলো ক্রিয়ার সচলায়তনের মধ্যদিয়ে সুশাসন ও সুনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

 

সুশাসন প্রতিষ্ঠার গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক। গণমাধ্যম বা মিডিয়া এই দায়িত্ব তখনই পালন করতে পারে, যখন মিডিয়া পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। মিডিয়ার স্বাধীন না থাকলে সমাজের ক্ষয় বা ধ্বংস দেখা যায় না। ধরা যাক, জলোচ্ছাসে আমার জন্মস্থান কুতুবদিয়ায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলো। মিডিয়া যদি এখানে স্বাধীনভাবে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে না পারে, তাহলে প্রশাসন কিন্তু সঠিক অবস্থা অনুধাবন করতে পারবে না। আবার কোথাও বড় ধরনের একটি অপরাধ সংঘটিত হলো, অনুসন্ধানের মাধ্যমে মিডিয়া অপরাধের সেই আদোপান্ত তুলে ধরলে প্রশাসনই এতে তথ্য পেয়ে লাভবান হতে পারে। অনিয়ম, দূর্নীতি, অধিকার লংঘন, স্বেচ্ছাচারিতা গণমাধ্যমে তুলে ধরা যায়। গণমাধ্যম এ কাজটি করছেও।

 

মিডিয়ার স্বাধীনতা না থাকলে এসবের চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হতো না। আবার মিডিয়া স্বাধীনতার অপব্যবহার করে ভুল খবর পরিবেশন করলে, তার দায়-দায়িত্ব সেই মিডিয়াকেই বহন করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে মিডিয়া পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো করতে পারে, আবার খারাপও করতে পারে। এটি নির্ভর করে দায়িত্বশীলতার ওপর। আজকাল মিডিয়ার জন্য বস্তুনিষ্ঠতার স্থলে ‘যা ঘটনা’ তাই লেখার একটি শ্লোগান চালু হয়েছে। ঘটনার কম-বেশি লেখার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানা যায় না। আসলে যা ঘটনা, তাই হওয়া উচিত। মিডিয়ার বস্তুনিষ্ঠতা বলতে নিশ্চয় তাই বুঝায়।

 

পছন্দের আরো পোস্ট