জাবি প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল

ছবি ২জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যে ও জাবি সাংস্কৃতিক জোট।

 

মঙ্গলবার ( ১০ মে) রাত পোনে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট থেকে মিছিলটি বের করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অমর একুশের পাদদেশে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

 

সমাবেশে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জুবায়ের টিপু বলেন, ‘ছাত্রদের উপর এমন একটি ন্যাক্করজনক হামলা হওয়ার পরেও প্রশাসন কোন সুস্পস্ট বক্তব্য দেননি। বরং তারা এমন একটি বিবৃতি দিয়েছেন যা ছাত্র বিরোধী। এ বিবৃতি দ্বারা প্রশাসন যে ধর্ষক ও খুনিদের পক্ষ নিয়েছে তা স্পষ্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি প্রগোতিশীল বিদ্যাপীঠে প্রশসনের এমন আচরণ আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। তাই আমরা বলতে চাই ছাত্ররা যে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে তা মেনে নিয়ে আপনারা যে ছাত্র বান্ধব তা প্রমাণ করুন’।

 

Post MIddle

গতিশীল ছাত্রজোটের নেতা ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল বলেন, ‘পুলিশ কখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছাত্রদের উপর হামলা করতে পারেনা। তাই এটা স্পষ্ট যে প্রক্টরের মদদে এ হামলা হয়েছে। তাই আমরা প্রশাসনের এ আচরনের দিক্কার জানাই। অবিলম্বে এ ব্যর্থ প্রক্টরকে অপসারণ করুন। এই প্রক্টরের অপসারণের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলনের মাঠ ছাড়ছি না’।

 

প্রসঙ্গত, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুসহ সব গুম, হত্যা ও ধর্ষনের বিচারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকা ২৫ এপ্রিল সোমবারের হরতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেটে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন এবং গ্রেপ্তার হন ১২ জন।

 

এ ঘটনায় প্রক্টরের মদদে হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ২৫ এপ্রিল থেকেই তার পদত্যাগের দাবিতে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা। #

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট