কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কর্মশালা
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা যুবসমাজের চাকরি ও আত্মকর্মসংস্থানের অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করছে। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে বেকার থাকলেও কারিগরি শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কেউ বেকার নেই। পাস করার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পায়।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বিশ্বব্যাংকের নতুন করে ১০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের চাকরি খুঁজতে হবে না। চাকরিই তাদের খুঁজে বের করবে।
শিক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার খাত এমন তথ্য জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে সরকার কারিগরি শিক্ষায় লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। তবে তা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, সরকার কারিগরি কোর্স কারিকুলাম যুগোপযোগী করেছে। সরকারি পলিটেকনিকগুলোতে ডাবল শিফট চালু করা হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৩৭৫। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫৬ হাজার ৭৫০। তাছাড়া দেশে বর্তমানে সাত হাজারের বেশি বেসরকারি কারগিরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিগগিরই দেশে একটি বিশ্বমানের টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শিক্ষাসচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম সামছুন নাহার, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) অশোক কুমার বিশ্বাস ও স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইমরান বক্তব্য রাখেন।
জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক ও কানাডার অর্থায়নে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং সহজলভ্য করার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্যদূরীকরণ ও দেশ-বিদেশে মর্যাদাসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।#
আরএইচ