ভাল থাকুন পৃথিবীর সকল মা

ma diobsআজ বিশ্ব ‘মা’ দিবস। পৃথিবীর সবচেয়ে যে মানুষটি আপন, পরমাত্মার তিনি হলেন আমাদের মা, যিনি সব সুখে-দুঃখে তার সন্তানকে আগলে রাখেন। পরম ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখেন সন্তানকে তার বুকে।

 

এ দিনটি সব সন্তানই চাইবে মাকে নিয়ে একটু আলাদা সময় কাটাতে। হয়তো এমন অনেকেরই এ সুযোগ হবে না ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও। এমনই কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হল, যারা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত, সবসময় ভাল-মন্দ খবরগুলা তুলে ধরেন গণমাধ্যমে। যারা পড়ালেখার জন্য এক শহর থেকে অন্য শহরে পাড়ি জমিয়েছেন মাকে ছেড়ে।

 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ইংরেজী দৈনিক ডেইলী সানের শাবি প্রতিনিধি ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ জানান,  মা পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন। এই পৃথিবীতে মা ছাড়া কেউ তাঁর সন্তানকে স্বার্থহীনভাবে ভালবাসে না। মায়ের ভালবাসার মধ্যে আছে প্রকৃত সুখ। বাড়ীর বাহিরে থাকায় যখনই একান্তভাবে মায়ের কথা মনে পড়ে, তখনই মনের অজান্তেই চোখ ভিজে যায়। ইচ্ছে করে ছুটে যাই মায়ের কাছে। এক চিলতে আদর আর শাড়ীর আঁচলে মুখটা বেধে ডুব দেই ভালবাসার সাগরে।এটা সর্বজন গ্রহনযোগ্য যে, মায়ের প্রতি ভালবাসা একদিনের জন্য হতে পারেনা। যেটা অনন্তকালের, সেটা শেষ হওয়ার নয়; আর ওটাই হল মায়ের প্রতি ভালবাসা!

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাবি প্রতিনিধি সাখাওয়াত আল আমিন জানান,  আব্বা আমার গায়ে কখনো হাত তুলেছে কি না মনে পড়ে না, কিন্তু একটু উনিশ-বিশ হলেই মা আমাকে বেদম মারতো। স্কুল ফাঁকি দিয়ে খেলতে গেলে বা খেলা দেখতে গেলে কিভাবে যেন টের পেয়ে যেত। বাড়ি ফিরলেই পড়তো রাম ধোলাই। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার পর যেদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম সেদিন আর ‘নিষ্ঠুর মা’ নিজেকে ফাঁকি দিতে পারেনি। কপাল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে অশ্রুধারা। এখনও বাড়ি গেলে ফেরার পথে হাটতে হাটতে চলে আসবে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত… এত ধাড়ি হয়েছি তবুও বাড়ি গেলেই খুব কম সময়েই নিজে মেখে ভাত খাই… কষ্ট করে যে রান্না করে, খাইয়ে দেওয়ার দায়িত্বও তারই…. মা, আমার মা।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জাবি প্রতিনিধি বেলাল হোসেন  রাহাত জানান, পৃথিবীতে একমাত্র মায়ের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ও বিনিময়হীন। আমার জীবন গড়ার কারিগর তিনি। আমার এই বহুদুরের পথ সহজ হয়ে যায় যার প্রেরণা, ত্যাগ আর অকৃত্রিম ভালবাসায়, সেই মা কে শুধু মা দিবসে কেন, প্রতিদিন বলব, মা, তোমায় ভালবাসি। অনেক ভালবাসি।

 

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলা ট্রিবিউনের গবি প্রতিনিধি মেহেদী তারেক বলেন,  ছোট বেলা থেকে বাসার বাইরে থাকার কারণে আসলে মায়ের ভালবাসাটা ঐভাবে কখনো অনুভব করা হয় নি। ভীষণ কষ্টের রাতে কিংবা অসুস্থতার রাতে মাকে খুব মনে পড়ে। ভবিষৎ এ যখন নিজে ইনকাম করবো তখন মাকে সাথে রাখবো ।

 

Post MIddle

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: পূর্বপশ্চিম ডটকমের জাবি প্রতিনিধি প্রত্যাশা প্রমিত সিদ্দিক বলেন, ‘মা’ শব্দটির কোনো পরিপূরক নেই, অতুলনীয়। ‘মা’-কে ঘিরে কোনো দিবসের প্রয়োজন পড়েনা। পৃথিবীর সব মা সুন্দর। পবিত্র। সব মা’দের জন্য শ্রদ্ধা, ভালবাসা। ভাল থাকুক সব মায়েরা।

 

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রিয় ডটকমের পবিপ্রবি প্রতিনিধি  মুস্তাফিজুর রহমান পাপ্পু  বলেন, পৃথিবীতে মায়ের কোন বিকল্প নাই, মমতাময়ী মায়ের মমতা প্রতিটি দিনেই অটুট থাকুক এই কামনা করি। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রাকাশের জন্য বছরের ১ টি দিন যথেষ্ট নয়।

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ভোরের কাগজের বাকৃবি প্রতিনিধি আবুল বাশার মিরাজ জানানআমার মনে হয় শুধু একটা দিন মায়ের জন্য না হয়ে বছরের  সবগুলা দিনই মায়ের জন্য দিতে পারলে সেটাই হবে পূর্ণাঙ্গ মা দিবস পালনের ভালবাসা । আমার মা আমার সব কিছু।

 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: দৈনিক আমাদের সময়ের কুবি প্রতিনিধি এস এম জোবায়ের বলেন, মা শব্দটি আমার কাছে সব চেয়ে প্রিয়। নবম-দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় রাত জেগে পড়তে পছন্দ করতাম।  মা আমার পাশে বসে থাকতেন। আবার সকালে ভোরে বাবার নাস্তাও দিতেন সঠিক সময়ে। কোন কাজে হতাশ হলে মা আমাকে উৎসাহ দিতেন। মায়ের কাছে আমি চির ঋণী। মাকে এখনো ভাল কিছু দিতে পারিনি। ভাল থাকুন পৃথিবীর সকলের মা এই প্রত্যাশা করি।

তবে সবশেষ কথা মায়ের জন্য দিবসের প্রয়োজন হয় না। প্রত্যেকটা দিনই মায়ের জন্য।|#

 

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট