প্রক্টর অপসারণের দাবিতে জাবিতে সংহতি সমাবেশ

?????????????
?????????????

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার অপসারণের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য পরিষদ এবং জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। একই দাবিতে এ সময় তাদের সাথে শিক্ষকরাও সংহতি প্রকাশ করে। শনিবার (০৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া চত্ত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

 

সংহতি সমাবেশে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, একের পর এক অপরাধ করেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুনজরের কারণে এই প্রক্টর নিজের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রয়েছে। যে প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরপত্তা দিতে পারে না সে কিভাবে প্রক্টরের মত এরকম একটি সম্মানজনক পদে থাকে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। তিনি অবিলম্বে এই প্রক্টরের অপসারণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে অনুরোধ জানান।

 

কেন্দ্রীয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণের বিবেক বলা হয়। আর সে বিবেকের তাড়নায় যখন শিক্ষার্থীরা তনু হত্যাকারীদে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। সেই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি নির্মম হামলা একটি নেক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। যা সভ্য সমাজ কখনোই মেনে নিতে না। এই রকম প্রক্টরের পদে আসীন থাকা আর না থাকা একই কথা।

 

Post MIddle

সংহতি সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, জাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারন সম্পাদক আবিদ সরকার সোহাগ, চিরকুটের পরিচালক মাসুম মনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

৮মে মধ্যে প্রক্টর পদত্যাগ না করলে ৯ মে গণসংযোগ ও ১০ মে সন্ধা ৬টায় মশাল মিছিল বের করা হবে বলে জানান ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল।

 

এর আগে ২৫ এপ্রিল (সোমবার) প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হরতাল পালন কালে পুলিশ ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ১২ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে।
প্রক্টরের নির্দেশে এ হামলা ও গ্রেপ্তার হয়েছে এমন অভিযোগ এনে আন্দোলনকারীরা ওইদিন (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখে। পরের দিন (২৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও এবং বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করে। বৃহস্পাতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানবন্ধন করে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) চিত্র প্রদর্শনী করে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে মৌনমিছিল বের করে। ১মে (রোববার) ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করে। ৩ মে মঙ্গলবার একই দাবিতে তারা সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে। #

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট