জাবি ক্যাম্পাসের হল জীবন
বিশ্ববিদ্যালয় মানেই জ্ঞানের সূতিকাগার । একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে ভিড় জমায়। তাদের জীবনের বড় একটা অংশ জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শুরু হয় ক্যাম্পাসের হল জীবন ।
হল জীবনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা , ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক , রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজের একাত্বতা পোষণ করেই পথ চলা। প্রাতিষ্ঠানিক প্রাপ্তির সাথে তাদের বাস্তবিক উপলদ্ধি সমন্বয় করে। জাতিকে দীক্ষিত করার অভিপায়ে নিজেকে সঁপে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবন সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানান তাদের নানা অভিজ্ঞতার কথা।
হল জীবন শেষ করে নাটক ও নাট্যতত্ত¡ বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিশ্ব জিৎ ঘোষ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল জীবনের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আমার প্রিয় আল বেরুনি হলের গণ রুমের কথা মনে পড়ে যায় । বন্ধুদের সাথে রাত জেগে কার্ড খেলা , মারামারি করা, কারণে অকারণে হৈ চৈ করা এতো কিছু করার মাঝেও ক্লান্তিহীনভাবে অধ্যয়ন করা যা ছিল নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা। কয়েকজন কাছের বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসের টিচারস কোয়াটার এর গাছ থেকে আম – কাঁঠাল প্রভ’তি পেরে খাওয়া । স্মৃতি বিজাড়িত মৃহূর্তগুলো আজও আমাকে আন্দোলিত করে । সে সকল বন্ধুদের খুব মিস করি ।
জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় । প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে আসে তাদের স্বপ্ন পূরণের উদ্দ্যেশে । নতুন জায়গায় নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর পাশাপাশি বন্ধু – বান্ধুবদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হল জীবনের জুড়ি নেই । হল জীবন গতিশীলতার থেকে অনেক বেশি আমাদের অলস করে তোলে ।
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফয়েজ খান হল জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, মাঝ রাতে ক্যাম্পাসে একা একা হাঁটা খুব উপভোগ করি । বন্ধুদের সাথে হলের রুমে আড্ডা দিতে ভাল লাগে । ক্রিকেট খেলতে , বটে একসাথে খাওয়া , বৃষ্টির সময় বৃষ্টিতে ভেজা , বিদ্যুৎ চলে গেলে রুমের মধ্যে গান গাওয়া , হল রুমে সবাই একসাথে বাংলাদেশের খেলা দেখা , আরও অনেক কিছু ।
ইসরাত জাহান তৃণা জানান, ভর্তিও পর থেকেই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের শুরু হয় হল জীবন । হল জীবনের শুরুতে আমাদের থাকতে হয় গণরুমে । গণরুমে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীদের সাথে মানিয়ে নিয়ে একত্রে থাকতে হয় । হল জীবন যেকোন শিক্ষার্থীর জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । অনেক কিছু শিক্ষাণীয় ব্যাপার থাকে এখানে । হলে অনেক অপরিচিতদের সাথে দেখা হয় তারপর ঘনিষ্ঠা বাড়ে । বন্ধুত্বের সম্পর্ক দৃঢ় হয় । শেখ হাসিনা হলে পড়ার পরিবেশ অনেক ভাল । ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা পড়ার রুম । এছাড়াও রয়েছে পেপার পড়ার রুম ।