রাবিতে শিক্ষক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

13113073_542571252591758_962811727_oরাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গণঅভ্যূত্থানের আগাম বার্তা দেখতে পাচ্ছি। ১৯৬৯ সালের গণঅভূত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার বিচারের দাবিতেও অব্যাহত আন্দোলনে রাবি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। সকলে মিলে একটা মঞ্চ তৈরি করতে হবে। যে মঞ্চের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে আন্দোলন। আর এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

 

শনিবার বেলা ১১টায় রাবি শিক্ষক হত্যার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।বাদশা বলেন, ‘শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এটাই যেন শেষ হত্যাকা- হয়। রাজশাহীসহ দেশের সকল মানুষকে এ হত্যাকা-ের বিচারের দাবিতে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। ঐক্য ছাড়া কোন বিকল্প নেই। দেশকে করতে হবে জঙ্গি মুক্ত।’

 

দেশের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “পূর্বে বিভিন্ন হত্যাকা- হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা হত্যাকান্ড সমূহ মন থেকে মুছে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। শত্রুর দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। না পারলে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে চলার অধিকার নেই। দেশকে ‘জিরো টলারেন্স’ করতে হলে আগে জনগণকে জিরো টলারেন্স করতে হবে।”

 

Post MIddle

মানববন্ধনে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম বলেন, এ হত্যাকা-ের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি অব্যাহত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আগামী ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। ওই দিনই ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে এবং ৩মে রাবিতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।

 

এর আগে মুকুল মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে নিহতের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বলেন, ‘একজন মানুষকে কেন হত্যা করা হয়েছে তা না খুঁজে কারা খুন করেছে সেটা আগে বের করতে হবে। আমার বাবাকে হত্যা করার পর দুই ধরনের মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ খুঁজছে কেন হত্যা করা হয়েছে। তিনি আস্তিক না নাস্তিক ছিলেন তা খোঁজার চেষ্টা করছে। আর অন্যরা আন্দোলন করছে। তারা আমার বাবাকে নিজেদের বাবা বলে স্লোগান দিয়েছে। আমি চাই এ আন্দোলন অব্যাহত থাকুক যতক্ষণ না এর বিচার হয়।’

 

এদিকে এ হত্যাকান্ডের বিচারেরর দাবিতে সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন বিভাগ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে মুকুল মঞ্চে জমায়েত হয় লোক প্রশাসন, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইনফরমেশন এ- লাইব্রেরি সায়েন্স, বাংলা, ভাষা বিভাগ, আইন অনুষদ, পরিসংখ্যান বিভাগ ও পরিসংখ্যান সমিতি।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট