ড্যাফোডিলে ৩ দিনব্যাপি কর্মশালা ২ মে থেকে

Meet the Presবর্তমান সময়ে সর্বজনীন মূল্যবোধ ও কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে এই প্রথম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আগামী ২-৪ মে ২০১৬ বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে “সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ ও পেশায় নৈতিকতা” বিষয়ে ৩ দিনব্যাপি এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের আইআইআইটি, দিল্লীর ন্যাশনাল রিসোর্স সেন্টার ফর ভ্যালুএডুকেশন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ড. আর আর গৌর, মানবীয় শিক্ষা সংস্কার সংস্থান এর রাজুল আস্থানা এবং উত্তর প্রদেশের গলগটিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুমার সম্ভাব উক্ত কর্মশালা পরিচালনা করবেন।

 

বাংলাদেশ জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ২ মে ২০১৬ তারিখে উক্ত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় সদস্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ আলি মোল্লা ৪ মে ২০১৬ তারিখে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্য ড. এম. লুৎফর রহমান উক্ত কর্মশালার সাংগঠনিক সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। উচ্চ শিক্ষায় মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব এবং কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বাস্তব ব্যবহার নিয়ে কর্মশালায় বিষদ আলোচনা করা হবে।

 

আজ (৩০ এপ্রিল ২০১৬) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্য ড. এম. লুৎফর রহমান, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক ও পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান।

 

Post MIddle

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সমাজে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হতে হতে একেবারে তলানিতে নামতে শুরু করেছে। বর্তমানে সামাজিক চিত্র বড়ই করুন। বেড়ে চলেছে আতঙ্ক, সন্ত্রাস, বলপ্রয়োগ, নৈতিক অবক্ষয়, ভেজাল, দুর্নীতি, শোষণ, পাপাচার, যৌন অপরাধ, মায়ের মায়ের হাতে সন্তান খুন, জাতিগত ও গোষ্ঠিগত দ্বন্দ, মারণা¯্ররে বিস্তার এবং আরও এমন অনেক সমস্যা।

 

মানবিক মূল্যবোধ ব্যতীত সমাজে প্রকৃত সুখ ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয় সততা, নৈতিকতা, প্রভৃতি মানবিক গুনাবলী। অন্যায়, অবিচার এবং মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব অনেক।

 

বক্তারা বক্তারা আরো বলেন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে নৈরাজ্য আমাদেরকে গ্রাস করবে। সমাজের মন-মানসিকতা পাল্টান সহজ নয়, এ জন্য প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ শিক্ষা। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ব্যতীত শুধু প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, শাস্তি অথবা শপথ বাক্য দিয়ে সমাজে সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। প্রয়োজন উপলদ্ধিও অনুভূতির পরিবর্তন। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণে সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ ও তার বাস্তব অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এজন্য নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট