শিক্ষক সংকটে দেশের ২১২ সরকারি কলেজ

মাউশিশিক্ষক সংকটে রয়েছে সারা দেশের ২১২টি কলেজ। গত কয়েক দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) লিখিতভাবে এই সংকটের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষরা। সারা দেশে বর্তমানে কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসাসহ সরকারি কলেজ পর্যায়ের ৩২৯টি প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে তিন শতাধিক কলেজ। শনিবার অনুষ্ঠেয় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সম্মেলন সামনে রেখে কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা মাউশির তৈরি নির্ধারিত ছকে শিক্ষক-সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী এই সম্মেলন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

 

মাউশির সূত্র জানায়, এই সম্মেলনের আগে অধ্যক্ষদের কাছে নির্ধারিত একটি ছকে কলেজ-সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য চাওয়া হয়। এতে মোট ৩০৯টি কলেজের অধ্যক্ষ তথ্য দিয়েছেন। যার মধ্যে ২১২ জন অধ্যক্ষই তাঁদের কলেজে শিক্ষকসংকট থাকার কথা জানিয়েছেন। শিক্ষকসংকটের পরেই শ্রেণিকক্ষ, অবকাঠামোসহ সমস্যার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

 

মাউশির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, সরকারি কলেজে মোট ১৫ হাজার ২৮৯টি অনুমোদিত পদের মধ্যে তিন হাজার ৭৫৪টি পদই শূন্য। অর্থাৎ, প্রায় ২৫ শতাংশ পদই শূন্য।

 

Post MIddle

মাউশির সূত্রমতে, অধ্যক্ষদের দেওয়া প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, মফস্বল এলাকায় অবস্থিত কলেজগুলোতেই শিক্ষকসংকট বেশি। লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাঁর কলেজে মোট ছাত্রী এক হাজার ৮০০ জন। অথচ কলেজে মোট ৩১টি সৃষ্ট পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১২ জন।

 

শিক্ষামন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে মোট শিক্ষার্থী ৮ হাজার ৩২০ জন। কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পড়ানো হয়। অথচ এই কলেজে ৪৭টি সৃষ্ট পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩২ জন। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ বলেছেন, পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এ জন্য পদ সৃষ্টি ও শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে।

 

রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজে ১৫টি পদের মধ্যে নয়জন কর্মরত আছেন। বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজে ৩৪টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২২ জন। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষার্থী ৫ হাজার ৫০০। এই কলেজে ৬০টি পদের মধ্যে ১৪টিই ফাঁকা। বরিশালের বানারীপাড়া সরকারি ফজলুল হক কলেজে ৬১টি সৃষ্ট পদের মধ্যে ২৩টিই ফাঁকা। গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজে ৩৫টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২০ জন। যশোর সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্রীসংখ্যা ৭ হাজার ২০৪ জন। অথচ এই কলেজে সৃষ্ট ১০২টি শিক্ষকের পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৬১ জন। একই রকমভাবে ২১২টি কলেজের অধ্যক্ষরা আলাদাভাবে তথ্য দিয়েছেন। শনিবার অধ্যক্ষ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট