শিক্ষক হত্যার বিচারে খুবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি

Khulna university Teachers photo
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাগ্রসর বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এবং মৌলবাদের শিকড়-উৎপাটনের লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে  বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল ২০১৬)  সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

 

উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান। তিনি বলেন, গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে পরদিনই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

 

 

 

 

এছাড়া সমিতির জরুরী সভা আহবান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ সেখানে সংঘটিত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে। এসব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। এই বাস্তবতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর।

 

 

 

Post MIddle

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয় আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় যুথবদ্ধ হতে পেরেছিলাম বলেই আজকের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিলো। এই অসাম্প্রদায়িক দেশটিকে পঙ্গু করে দিতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলার চিন্তাসৈনিকদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিলো ঠিক একই কায়দায় সেই পুরনো মৌলবাদের শক‚নরাই আবার নখে শান দিচ্ছে জাতির পতাকা খামছে ধরবে বলে। ভয় আর আতঙ্কের চাপাতি উচিয়ে মৌলবাদী জল্লাদেরা রাষ্ট্রের মূলনীতিকেই খুন করতে চাইছে। আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলতে চাইছে এ জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। ওইসব মৌলবাদী জল্লাদদের অপচেষ্টা রুখতে হলে প্রয়োজন সম্মিলিত ধারাবাহিক প্রতিরোধ এবং তা প্রয়োজন এখনই।

 

 

 

 
সংবাদ সম্মেলনে দেশে চলমান মৌলবাদী অপচেষ্টার শিকড়-উৎপাটনের লক্ষ্যে ও অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকান্ডসহ বিগত সময়ে মৌলবাদীদের ঘৃণ্যতৎপরতায় সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারের মধ্য দিয়ে সর্ব্বোচ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিক প্রতিরোধের প্রাথমিকপর্বের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, ২ মে বিশ্ববিদ্যালয় হাদী চত্বরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আহূত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কর্মবিরতি (সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত) ও অবস্থান কর্মসূচি (বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত), ৪ মে আচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং শিববাড়ি থেকে শহীদ হাদিস পার্ক পর্যন্ত আলোর মিছিল।

 

 

 

সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহানসহ সমিতির র্ন্বিাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট