ঢাবি অথনীতি বিভাগে গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

(2) IMG_0614ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত-এর “বাংলাদেশ দারিদ্র-বৈষম্য-অসমতার কারণ-পরিণাম ও উত্তরণ সম্ভাবনা : একীভূত রাজনৈতিক অর্থনীতির তত্ত্বের সন্ধানে” শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব আজ (১৫ এপ্রিল) শুক্রবার বিকেলে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

 

বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. অজয় রায়, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রশিদ-ই-মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাপান স্টাডি সেন্টারের ভিজিটিং অধ্যাপক সাই কুরাসাওয়া, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, নাট্যজন মামুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশনা উৎসব কমিটির সমন্বয়ক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফউদ্দিন চৌধুরী।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকাশক ও গ্রন্থকার আবুল বারকাতকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য বলেন, আবুল বারকাত সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে তুলে ধরে দারিদ্রের মূল কারণ অনুসন্ধান করেছেন। দারিদ্রের প্রকারভেদ হিসেবে তিনি যে ২৩টি কারণ উল্লেখ করেছেন তন্মধ্যে মানুষ কাঠামোর দারিদ্র প্রবণতা আমাদের আত্মজিজ্ঞাসাপ্রবণ করে তুলে। আজ যে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, অন্যের সম্পদ জবরদখল, অসৎ কালোবাজারি ইত্যাদিকে দারিদ্রের একটি মৌলিক কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন।

 

Post MIddle

এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে শুধু অর্থনীতির ছাত্র নয় সকলের জন্যই গ্রন্থটি অবশ্য পাঠ্য। প্রয়োজন শিক্ষার মাধ্যমে আবুল বারকাতের দর্শনের চিন্তাকে যুক্ত করে গণমানুষের অর্থনৈতিক প্রবণতাকে অনুসন্ধান করে দারিদ্র বিমোচনের প্রচেষ্টা গ্রহণ। অর্ন্তদৃষ্টিসম্পন্ন জনগণের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরণ থেকে প্রকৃত মানুষ, সঠিক মানুষ, মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষার আবশ্যকতা আজ প্রয়োজন। উপাচার্য আবুল বারকাতের রচনা থেকে রবীন্দ্র শিক্ষা-চিন্তার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথ সাধারণ মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে সহায়তা করে তার জমিদারীকে বিলুপ্ত করে দিয়েছেন।

 

আজ ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে জমিদারী। তাই কল্যাণ অর্থনীতির লক্ষ্যে আমাদের সচেতন করার জন্যে আবুল বারকাতের বই থেকে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করা যাবে। উপাচার্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু পর্যায়ক্রমে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। একইভাবে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে, দারিদ্র বিমোচনের জন্যে আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। পরিশেষে উপাচার্য বইয়ের বহুল প্রচার কামনা করেন।

(1) IMG_0590

 

পছন্দের আরো পোস্ট