জবিতে শিক্ষার্থীদের উপাচার্য ভবন ঘেরাও

Najim pic n

জবিতে  শিক্ষার্থীদের উপাচার্য ভবন ঘেরাও

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল(বুধবার) বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ মিনার ও উপাচযের্র ভবনের সামনে পৃথক পৃথক ভাবে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ।

Post MIddle

 
জানা যায়, আজ সকাল এগারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ নাজিমুদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য বলেন, নাজিমুদ্দিন সামাদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। যদি সে কোন ব্যক্তির বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে তাহলে তাকে বিচারের আওতাধীন আনা যেত। তার জন্য তাকে হত্যা করার অধিকার কোন রাষ্ট্র বা মানুষের নেই।

 
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করছি যে তিনি, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে তা সনাক্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
এদিকে নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বেলা সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যায়ের ভাস্কর্যের সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিভিন্ন প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন।

 

সরেজমিনে দেখা যায় প্রায় এক ঘন্টা যাবত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে রাখেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে নাজিমুদ্দিন হত্যার বিচারসহ শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম অনিক বলেন আমরা মেসে থাকতে ও জীবন সংগ্রাম করতে আসিনি,আমরা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি। জবি প্রশাসন উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করছে। হলের নামে একই হল বারবার উদ্ভোধন করে শিক্ষার্থীদের সান্তনা দেয়া বন্ধ করুন।
মার্ক্সবাদী ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কিশোর বলেন, যদি নাজিমুদ্দিন হত্যার তথ্য বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করতে হয় তাহলে প্রশাসনের নাকে খত দিয়ে বলা উচিত যে, আমরা নাজিমুদ্দিন হত্যার কোন সমাধান করতে পারব না । তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা নাজিমুদ্দিন হত্যার বিচারকার্য হাতে তুলে নিব। তিনি আরও বলেন,৪২ বছর আগের মানবতা বিরোধীদের যদি বিচারের আওতায় আনা যায় তাহলে তনু ও নাজিমুদ্দিন হত্যার আসামিকে কেন বিচারের আওতায় আনা যাবে না।

উল্লেখ্য উপাচার্য ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করার পর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আল আমিন বলেন, নাজিমুদ্দিন হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।

পছন্দের আরো পোস্ট