নোবিপ্রবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

NK-209নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে  প্রতিবছরের ন্যায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বৈশাখী মেলা ও দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ৯টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা; এটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর উপাচার্য বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন।

 

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, অপসংস্কৃতি প্রতিহত করতে হলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে হবে; উচ্চকিত করতে হবে মানবিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাঙালী সংস্কৃতি। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার বীজ নিহিত রয়েছে বাঙালী জাতিয়তার মধ্যে। এ দেশের সকল ধর্মের লোক মিলেই আমরা  বাঙালী জাতি। এ চেতনা নিয়েই ১৯৭১সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের বাঙালী আপামর জনতা স্বাধীনতা অর্জন করেন।

 

Post MIddle

এরপর উপাচার্য এবং অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ কর্তৃক দিনব্যাপী পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে থাকে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো: মমিনুল হক, উপাচার্য সহধর্মিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. জিনাত হুদা অহিদ,নোবিপ্রবি ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ভক্ত সুপ্রতিম সরকার, প্রক্টর জনাব মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ও নববর্ষ উদ্্যাপন কমিটির সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি তারেক মো: রাশেদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীসহ সব বয়স এবং শ্রেণীর মানুষ এবং আশ-পাশের এলাকার শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ স্বতস্ফুর্তভাবে এ সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

 

মেলায় দেশীয় ঐতিহ্যকে সার্থকভাবে ফুটে তুলে স্টল তৈরি করায় এগ্রিকালচার বিভাগকে প্রথম, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগকে দ্বিতীয় এবং ফার্মেসী বিভাগকে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

DSC_0622

পছন্দের আরো পোস্ট