নফল নামাজ ও কোরআন পাঠের ফজিলত

1459127273নফল নামাজের ফজিলত অসীম। এ নামাজ আখিরাতের দিনে জবাবদিহিতা থেকে বাঁচার রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পারে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম তার ফরজ নামাজের হিসাব নেবেন। যদি ফরজ নামাজ পরিপূর্ণ ও ঠিক থাকে তাহলে সে সফলকাম হবে ও মুক্তি পাবে। আর যদি ফরজ নামাজে কোনো ঘাটতি দেখা যায় তখন ফেরেশতাদের বলা হবে, দেখ তো আমার বান্দার কোনো নফল নামাজ আছে কিনা। তার যদি নফল নামাজ থাকে তাহলে তা দিয়ে আমার বান্দার ফরজ নামাজের এ ঘাটতি পূরণ কর। এরপর অন্য আমলগুলোও (যেমন— রোজা, জাকাত ইত্যাদি) এভাবে গ্রহণ করা হবে। [তিরমিজি]

 

কোরআন পাঠে ফেরেশতা আসে

Post MIddle

উসাইদ ইবনে হুদাইর (রা.) থেকে বর্ণিত। এক রাতে তিনি সূরা আল-বাকারা পড়া শুরু করেন। হঠাৎ তার পাশে বাঁধা তার ঘোড়াটি লাফাতে শুরু করে। তিনি পড়া বন্ধ করলে ঘোড়া সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তিনি পুনরায় পড়তে শুরু করলে ঘোড়া আবারও লাফাতে শুরু করে এবং পড়া বন্ধ করলে ঘোড়া থেমে যায়। তৃতীয়বারও এমনটি ঘটে। ঘোড়াটির পাশে তার শিশুপুত্র ইয়াহইয়া শুয়ে ছিল। তিনি ভয় পেলেন না জানি ছেলের গায়ে আঘাত লেগে যায়। কাজেই তিনি পড়া বন্ধ করে ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে যান। তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘোড়ার চমকে ওঠার কারণ বুঝতে পারলেন। এরপর সকালে তিনি রসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি জানালেন। নবী করিম (সা.) তাকে বললেন, হে উসাইদ! তুমি পড়তেই থাকতে। উসাইদ বললেন, হে আল্লাহর রসুল! তৃতীয়বারের পর ছেলে ইয়াহইয়ার জন্য পড়া বন্ধ করেছিলাম। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ছায়ার মতো একটা জ্যোতির্ময় জিনিস দেখতে পাই এবং তা দেখতে দেখতেই উপরের দিকে ওঠে শূন্যে মিলিয়ে যায়। তখন রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি কি জান তা কী ছিল? তা ছিল গগনবিহারী অগণিত জ্যোতির্ময় ফেরেশতা। তোমার পড়া শুনে তারা নেমে এসেছিল। যদি তুমি পড়া বন্ধ না করতে তাহলে তারা সকাল পর্যন্ত এভাবেই থাকত এবং মদিনার সব লোক তা দেখে চোখ জুড়াত। একটি ফেরেশতাও তাদের দৃষ্টির অন্তরাল হতো না। [বুখারি]। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

লেখক : ইসলামী গবেষক

পছন্দের আরো পোস্ট