খুবিতে দুদিনব্যাপী উদযাপন হবে বাংলা নববর্ষ-১৪২৩
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ-১৪২৩ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ৩০ চৈত্র/১৩ এপ্রিল বেলা ৩ টায় ক্যাম্পাসে ঘুড়ি উৎসব, বিকেল ৪ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেলা (বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত)।
পহেলা বৈশাখ/১৪ এপ্রিল মেলা (সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত), ৭-৪৫ মিনিটে শোভাযাত্রা (শিববাড়ী মোড় থেকে ময়লাপোতা হয়ে রয়েল চত্ত¡র), সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (প্রথম পর্ব) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (দ্বিতীয় পর্ব) বেলা ২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় লাঠিখেলা, ম্যাজিকশো, নাগরদোলা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ মেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টলের ব্যবস্থা থাকছে। এদিকে বাংলা নববর্ষ বরণে খুবির চারুকলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। গত কয়েকদিন ধরে চারুকলার শিক্ষার্থীরা নববর্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত।
এদিকে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ইলিশ ছাড়াই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে। অপরদিকে পহেলা বৈশাখ মেলায় ব্যাপক লোক সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় সার্বিক প্রস্তুতি, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে আজ বেলা ৩ টায় প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত নববর্ষ মেলায় ব্যাপক লোকসমাগমের অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নববর্ষের দিন বেলা ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম লাগানো গাড়ি ছাড়া কোন গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ছাড়াও সাদা পোষাকেও থাকবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। মেলা অঙ্গন ছাড়াও আশেপাশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন থাকবে।