পথশিশুদের আলোকিত করছে ‘জুম বাংলাদেশ স্কুল’

00ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়ে প্রতিনিয়তই এক একটি শিশু হয়ে ওঠছে পথশিশু। ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিনিয়তেই বাড়ছে এসব পথ শিশুর সংখ্যা। সঠিক জরিপের অভাবে বলা কঠিন এদের সংখ্যা কত। ঢাকা শহরে অনেক সংস্থা আছে যারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। এমনি একটি সংস্থা হচ্ছে এভারগ্রীন জুম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

 

রাজধানীর সেগুন বাগিচার একটি বস্তিতে সংস্থাটির কয়েকজন তরুণ গড়ে তুলেছে জুম বাংলাদেশ স্কুল নামে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের একটি স্কুল। তাদের নেই কোনো অফিস কিংবা অবকাঠামো। রাস্তার এককোনে কিছুটা নীরব এলাকায় মাটিতে পাটি বিছিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালায় জুম স্কুলের উদ্যোক্তারা। শিশুদের শিক্ষার প্রয়োজনীয় বই-খাতা, কলম-পেনসিলের পাশাপাশি পড়াশোনায় উৎসাহিত করতে শিশুদের প্রতিদিন দিচ্ছেন চকলেট-নাশতা ।

 

Post MIddle

যদিও তাদের আয়ের তেমন পথ নেই। উদ্যোক্তারা বলতে গেলে সবাই বেকার। তবু নিজ খরচ বাঁচিয়ে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে তারা বদ্ধ পরিকর। যেখানে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের যুবকদের অনেকেই বিপথগামী সেখানে অপেক্ষাকৃত নিম্ন মধ্যবত্তি পরিবারের এই তরুণেরা তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বস্তির ছিন্নমূল পরিবারের শিশুদের সপ্তাহে তিন দিন বিকেলে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান করছেন তারা। বর্তমানে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ জন।

 

জুম বাংলাদেশ স্কুলের সমন্বয়ক মাসুদ রানা জানান, ছিন্নমুল শিশুদের সবার জীবনে আনন্দের ছোঁয়া সমানভাবে লাগে না, কারো কারো ক্ষেত্রে তো একেবারেই না। আমাদের আশপাশেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে এমন অনেক ছিন্নমূল শিশু-কিশোর। আমরা ছিন্নমূল শিশুর পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে চাই।পাশাপাশি ওদের কে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলায় আমাদের মুল লক্ষ্য।তিনি জানান, একঝাঁক সৃষ্টিশীল তরুণ স্কুলটি পরিচালনা করছেন। তারা হলেন,সাদ্দাম হোসেন সৌম্য, রুপকথা, তৌফিক, রাজিব, মাসুদ রানা, মামুন, সাকের, সিমা, রিয়াদ, নয়ন, রাসেল প্রমুখ।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট