আন্দোলনে অচল চুয়েট

ctg-bg20160403114222সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জের ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রোববার সকাল থেকেই অচল রয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।ফলে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাটে লেগুনা উল্টে গিয়ে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোহাইমিনুল ইসলাম।এর প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে আন্দোলন নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

এসব দাবিতে রোববার সকাল ৮টা থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে অবস্থান নেন।এসময় শিক্ষার্থীরা সকল অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে শিক্ষকরাও তাদের অ্যাকাডেমিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।পরে গোলচত্বরে পেট্রোল দিয়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে আট দফা দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

 

Post MIddle

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইউএনও এর আশ্বাসের পরও আট দফা দাবির একটিও পূরণ হয়নি।তাই তারা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। দাবিগুলো আদায় হওয়া না পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না।’এ বিষয়ে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আলোচনাধীন আছে।দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

 

শিক্ষার্থীদের আট দাবি হলো,  নিহত শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দোষী লেগুনা চালককে আটক, কাপ্তাই সড়কে লেগুনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, নিউমার্কেট থেকে চুয়েট পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করা, অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করা, রাস্তার মাথা থেকে চুয়েট পর্যন্ত স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা, এই রুটে প্রতি পাঁচ কিলোমিটারে একটি করে ট্রাফিক চেকপোস্ট স্থাপন, রাস্তার সম্প্রসারণ ও সংস্কারকরণ এবং চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে সার্বক্ষণিকভাবে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স রাখা ও ব্যক্তিগত কাজে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার বন্ধ করা।

পছন্দের আরো পোস্ট