সিভাসুতে ১৩তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক জ্ঞান চর্চা করতে হবে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইদিন ব্যাপী ১৩তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভারতের তামিলনাডু ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. টিলাগার, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সম্মেলনে “প্রমোটিং ফুড সেফটি, ওয়ান হেলথ এ- ব্লু ইকোনমি” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ শিক্ষা পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ছাত্রছাত্রী, পঁচিশ লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ শিশু স্কুলে ভর্তির জন্য তালিকাভূক্ত হচ্ছেন। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যা কমানো গেলে বাংলাদেশের নিরক্ষরতার হার শূণ্যের কোটায় পৌঁছাবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হচ্ছে। মন্ত্রী সভা কাউন্সিল আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। এ কাউন্সিলের সনদ ছাড়া সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান উচ্চ শিক্ষার সনদ দিতে পারবে না। উচ্চ শিক্ষার মান যাচাই নিশ্চিত করা সম্ভব হলে বিশ্বের দরবারে এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীকৃতি লাভ করতে পারবে।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য: “প্রমোটিং ফুড সেফটি, ওয়ান হেলথ এ- ব্লু ইকোনমি”। পূর্ববর্তী বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সম্মেলনে দেশ-বিদেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাঁদের গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার দুই শতাধিক বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।
দুইদিনের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে মোট ৪টি টেকনিক্যাল সেশনে একটি মূল প্রবন্ধ এবং ২৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। সম্মেলনে বিষয়সংশ্লিষ্ট ৮টি পোস্টার প্রদর্শন করা হবে। আগামীকাল রবিবার সারাদিন সম্মেলনের টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে।