উইক্যান-ড্যাফোডিল অ্যাপস ফেলোশিপ প্রতিযোগিতা
উইক্যান-ড্যাফোডিল অ্যাপস ফেলোশিপ ২০১৬ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ চ্যাম্পিয়ন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় তৃতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। প্রতিযোগীতায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায়, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে কিংবা নারী নির্যাতন বন্ধে তথ্য প্রযুক্তি অবদান রাখতে পারে- এমন ভাবনা থেকে যৌথভাবে এ ফেলোশিপের আয়োজন করে ‘আমরাই পারি জোট (উই ক্যান)’ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
আজ (৩১ মার্চ ২০১৬) বৃহস্পতিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে আয়োজিত চূড়ান্ত পর্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আয়োজনে বক্তব্য রাখেন – ‘আমরাই পারি জোট (উই ক্যান, বাংলাদেশ)’ এর চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান, উই ক্যান এর জাতীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান ও সিউর ক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদাত খান। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুনীর হাসান- কোর্ডিনেটর, ইয়থ প্রোগ্রাম-প্রথম আলো, তাপস রঞ্জন চক্রবর্তী- আইটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোঅর্ডিনেটর-অক্সফ্যাম, প্রফেসর ড. সৈয়দ আখতার হোসাইন- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড.মাহমুদা নাজনীন, প্রফেসর, বুয়েট সহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীদের ভূমিকাই বেশি; তা খেলা হোক, গার্মেন্টস হোক অথবা সামরিক বাহিনীর ভূমিকা হোক। তাই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করার এই প্রয়াস গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রযুক্তির সম্ভাবনাসমূহকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
সুলতানা কামাল বলেন, নারী নির্যাতন একটি সামাজিক অনাচার। নারীরা স্বাধীন না হলে সমাজ স্বাধীন হবেনা। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে নারীর ভূমিকা অপরিসীম। নারীদের একটি নির্যাতনমুক্ত জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ অ্যাপস্গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্মিলিত অ্যাপস ফেলোশিপ আয়োজন থেকে আমরা চাই, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ, নারী নির্যাতন বন্ধে তরুণ প্রজনের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত মেধার ব্যবহার ও নারীর ক্ষমতায়নে সহযোগী একটি মোবাইল অ্যাপস নির্মাণ।
মো: সবুর খান বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে তথ্য-প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই । তিনি বলেন, উইক্যান – ড্যাফোডিল অ্যাপস ফেলোশিপ ২০১৬ এর প্রয়াস আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
এ আয়োজন থেকে তৈরিকৃত অ্যাপস নারী অধিকার আদায়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আয়োজকরা জানান। এ লক্ষ্যে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ৯৬টি দলের আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ পর্যায়ে ২২টি দল উত্তীর্ণ হয়। সেখান থেকে নিবিঢ় প্রশিক্ষণ ও বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয় ৯টি দল। দলগুলো হলো – ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ। বিজয়ীদের ২ লক্ষ টাকার প্রথম পুরস্কারসহ মোট ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়।