পাবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
আজ (২৬ মার্চ) বাঙালির শৃংখল মুক্তির দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্নক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবের দিন – মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সকালে প্রশাসন ভবন থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পুস্পস্তবক দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী মহোদয়। এরপর শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইউনিট ও রসায়ন সমিতি।
এরপর আলোচনা সভায় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সের প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীকারের চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তা ধাপে ধাপে স্বাধীনতার আন্দোলনে রুপ নেয়। ১৯৭১ সালের এদিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন- ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পেয়ে বাঙালি নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। সোনার বাংলা বির্নিমান করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর আওয়াল কবির জয়, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন সাইফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল আলীম, শেখ হাসিনা হলের প্রভোষ্ট ড.মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে রাশেদুল হক, আশরাফুজ্জামান প্রামানিক, ইমরান পারভেজ, রতন কুমার পাল, মঞ্জুরুল মামুন, আব্দুর রহিম, মোকারম হোসেন, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিজন কুমার ব্রহ্ম, গোলজার হোসেন, সোহরাব আলী, কামরুল হাসান, হাফিজুর রহমান মোল্লা প্রমুখ। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।