ক্যানসার চিকিৎসায় পদার্থবিদদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

IMG_2844আজ (২২ মার্চ) মঙ্গলবার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল ফিজিক্স সোসাইটি (বিএমপিএস) ও ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ এন্ড হসপিটালের সহযোগিতায় ‘ক্যানসার চিকিৎসায় চিকিৎসা পদার্থবিদদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার মহাখালি ক্যানসার হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসা পদার্থবিদ্যার পথপ্রদর্শক জার্মানী কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ এন্ড হসপিটালের ডাইরেক্টর প্রফেসর ডা. মোশাররফ হোসেন এবং রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা।

 

Post MIddle

সেমিনারে বক্তারা ক্যানসার চিকিৎসায় মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট বা চিকিৎসা পদার্থবিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এই প্রসঙ্গে প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া বলেন “উন্নত মানের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি হাসপাতালে কমপক্ষে দুইজন করে মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট আবশ্যক। বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে সিঙ্গাপুর ও ব্যাংকক এর মতো ক্যানসার চিকিৎসার যন্ত্রপাতি থাকলেও পর্যাপ্ত মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট এর অভাবে যথাযথভাবে ক্যানসার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই কারনে শত শত ক্যানসার রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে, যার ফলে বাংলাদেশের একটি বিরাট অর্থ বাহিরের দেশে চলে যাচ্ছে”।

 

বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসা হলেও নেই পর্যাপ্ত পরিমান মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট। মুলত ক্যানসার চিকিৎসায় ডাক্তাররা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করেন মেডিক্যাল ফিজিসিস্টরা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের ক্যানসার চিকিৎসাকে আর উন্নত করার প্রয়াসে প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়ার সহায়তায় ২০০০ইং সালে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মেডিক্যাল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করা হয়।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট