প্রতি জেলায় হবে মেডিকেল কলেজ: প্রধানমন্ত্রী

1025প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন চিকিৎসক তৈরির মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তার সরকারের সিলেটে একটি পৃথক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে এবং জনসংখ্যা বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ৪৩তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

Post MIddle

 

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই মনে করেন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজই বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু আমরা তা করছি না এবং করবও না। বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ করবে এবং গবেষণার সুযোগ পাবে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের নিচের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতে পারবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ের মেডিকেল কলেজগুলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ যেমন বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, একইভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজও যথাক্রমে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে।

 

বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি ডা. শরফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সাবেক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নুরুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দীন মোঃ নুরুল হককে তার পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে শহীদ ডা. আলিম চৌধুরী স্বর্ণপদকে ভূষিত করেন। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

রাজধানীর বাইরে মেডিকেল কলেজ পরিচালনায় শিক্ষক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। এ সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসা পেশাকে মহৎ পেশা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যারা চক্ষু চিকিৎসক বা চক্ষু বিশেষজ্ঞ আছেন, দেশের মানুষ যেন আলোকিত ভবিষ্যৎ পায়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন। তৃণমূল পর্যন্ত সবার চক্ষুসেবা নিশ্চিত করতে তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উপজেলা হাসপাতালেও চক্ষু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেব।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গেল ৭ বছরে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার চিকিৎসক ও ৫ হাজারেরও বেশি নতুন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নার্সদের মর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। ৩ হাজার মিডওয়াইফার পদ সৃষ্টি এবং এ পদে নিয়োগও দেয়া হয়েছে। নতুন ১০ হাজার নার্স পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে। স্বাস্থ্য খাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।#

পছন্দের আরো পোস্ট